দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
ওয়াশিংটনে বিনামূল্যে গণপরিবহণে যাতায়াত করতে পারবেন নাগরিকেরা, সেই ঘোষণার পরেই তাকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে বিজেপিকে বিঁধলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর টুইট, “একেও কি বিনামূল্যের রেউরি বলা হবে?”
দিল্লিতে নিখরচায় বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বার বার কেজরীওয়াল সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তারই পাল্টা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। কেজরীওয়ালের বক্তব্য, জনসাধারণের উপরে অতিরিক্ত কর না চাপিয়ে বিনামূল্যে কোনও পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের সততা ও সংবেদনশীল রূপের প্রতিফলন ঘটে।
খয়রাতি নিয়ে আপ ও বিজেপির বাগ্যুদ্ধের সূত্রপাত জুলাইয়ে। সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটের জন্য ‘রেউরি’ সংস্কৃতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দেশের উন্নয়নের জন্য এ এক বড় বিপদ। যাঁরা এই খয়রাতির সংস্কৃতির পক্ষে তাঁরা কখনওই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন বিমানবন্দর কিংবা প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরি করবেন না। আমাদের যৌথ ভাবে এই ভাবনায় বদল আনতে হবে। দেশের রাজনীতি থেকে এই খয়রাতির সংস্কৃতিকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।”
ওই দিনই পাল্টা কেজরীওয়াল জানান, বিনামূল্যে জনসাধারণকে উন্নত পরিষেবা মানেই তা খয়রাতি নয়। এর সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কিছু কিছু পুরপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়ার সংস্কৃতির সমালোচনা করেন। সাধারণ মানুষকে সুযোগ সুবিধা দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রীর খয়রাতি-খোঁচা আসলে সাধারণ মানুষেরই অপমান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরে বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে বলা হয় যে, খয়রাতির মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা থাকে।
খয়রাতি নিয়ে সেই ‘লড়াই’ ফের উঠে এল গণপরিবহণ নিয়ে ওয়াশিংটনের ঘোষণার পরে। শুধু ওয়াশিংটন নয়, বস্টন, ডেনভারের মতো শহরেও আগামী গ্রীষ্ম থেকে গণপরিহণ পরিষেবা বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন সেখানকার নাগরিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy