সিয়াচেন। ছবি: টুইটার
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ২১ হাজার ফুটেরও বেশি। শত্রুর বুলেটের থেকেও সেখানে প্রকৃতি বেশি বিপজ্জনক। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সেই সিয়াচেন হিমবাহে এ বার পা রাখতে পারবেন সাধারণ মানুষও। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতি দিন প্রকৃতির সঙ্গে ভয়ঙ্কর যে যুদ্ধ চালান তা-ও অনুভব করতে পারবেন তাঁরা। এমনটাই পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনা।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করা ও তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া— কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের পরেই সিয়াচেনকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাইছে সেনাবাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত নিজেই। সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেখার জন্য অনুমতি আগেই দেওয়া হয়েছে। এ বার সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে বহু উচ্চতায় থাকা সিয়াচেন হিমবাহের মতো জায়গায় সাধারণ মানুষ যেতে পারবেন।’’ এই মুহূর্তে অবশ্য স্থানীয় কুলি ছাড়া আর কাউকেই সিয়াচেনের সেনা ক্যাম্পে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয় না। কিন্তু, এ বার তার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
কেন এই উদ্যোগ? সেনা সূত্রের খবর, লাদাখের উচ্চতম ক্যাম্পগুলিতে, ভয়ঙ্কর প্রতিকূল পরিবেশেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কী ভাবে কর্তব্য পালন করে চলেছেন তা সাধারণের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই সিয়াচেন ছাড়া অন্যান্য জায়গাও খুঁজে বার করা হচ্ছে। তবে ঠিক কোন কোন জায়গায় পর্যটকদের যেতে অনুমতি দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: বৈঠকে গেল না প্রশাসন-তৃণমূল, ক্ষোভ উগরেও রাজ্যপাল বললেন ‘প্রত্যেক জেলায় যাব’
আরও পড়ুন: জেএমবি-র হাতে রয়েছে রকেট, কওসর ধরা পড়ার ১ বছর পর জানতে পারল এনআইএ!
সিয়াচেনের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত ট্রেক করে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ২০০৭ সালেই। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব ভারতীয় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতি বয়ে নিয়ে চলা কার্গিল এবং টাইগার হিলের মতো জায়গা দেখতে যান তাঁরাই সিয়াচেন দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার পর্যটকদের সিয়াচেন ছুঁয়ে আসার অনুমতি দিতে পারে সেনাবাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy