দিল্লির দূষণ। ছবি: পিটিআই।
টানা তিন ধরে ‘মারাত্মক’ পর্যায়েই ঘোরাফেরা করছে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। শনিবারেও সেই ছবির কোনও হেরফের হল না। ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল রাজধানী। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালের রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ছিল ৫০৪। তবে বাতাসের গতি একটু বাড়ায় দূষণের মাত্রা আগের দিনের তুলনায় সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
দিল্লির এই পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক চিকিৎসকেরই আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং চোখের সমস্যা বাড়বে। তাই এই সময়ে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, গোটা উত্তর ভারত বায়ুদূষণের সমস্যায় ভুগছে। দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী গোপাল রাই দাবি করেছেন, দিল্লির দূষণের জন্য ৬৯ শতাংশ দায়ী প্রতিবেশী রাজ্যগুলি। তাঁর কথায়, “এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা সব রকম পদক্ষেপ করছি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার পরিবেশমন্ত্রীরা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করছেন, সে বিষয়ে কেউ কিছুই জানেন না।”
বায়ুদূষণ ঠেকাতে ‘উইন্টার অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে দিল্লি পুরনিগম। দূষণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে এবং নজরদারি চালাতে ৫২টি দল গঠন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করেছে তারা। অন্য দিকে, পূর্ত দফতর ৬০টি ধোঁয়াশা প্রতিরোধী কামান (অ্যান্টি স্মগ গান) ব্যবহার করছে দূষণের ‘হটস্পট’গুলিতে। রাজধানীর এই দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। সংবাদিক সম্মেলন ডেকে মন্ত্রী গোপাল রাই অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর এই দূষণ নিয়ে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এটি শুধু দিল্লির সমস্যা নয়, এই সমস্যা গোটা উত্তর ভারতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy