অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে ত্রিপুরার তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ও প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসেরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ত্রিপুরার নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। আসন ধরে ধরেও আলোচনা হয়।
তৃণমূল জানিয়েছে, যে হেতু ভোটের আর বেশি দিন বাকি নেই, তাই আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে। আগামী রবিবার আবার প্রার্থিতালিকা নিয়ে আলোচনায় বসবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় হতে চলা সেই আলোচনার যাবতীয় নির্যাস পাঠিয়ে দেওয়া হবে সর্বভারতীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। সেই সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্ব বিবেচনা করে তার পরেই ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় ঘোষণা করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কত আসনে লড়াই করা হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যে নির্বাচন পরিচালন অনেক সহজ বলেই দাবি রাজীবের। তাই ভোটের প্রার্থিতালিকা দেরিতে ঘোষণা হলেও ভোট যুদ্ধে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই মত রাজ্যের প্রাক্তন ওই মন্ত্রীর।
ত্রিপুরায় এ বারের ভোটে প্রথম জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে পারে কংগ্রেস ও বামেরা। অন্য দিকে, একক ভাবে ভোটে লড়বে তৃণমূল। এ বিষয়ে রাজীব বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন বিজেপিকে কী ভাবে হারাতে হয়। আর যারা জোট করছে, তাদের অবস্থা কী হয়েছে বাংলায়? তা-ও আমরা দেখেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে ভোটযুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে আমরা মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়াই করে বিজেপিকে রুখে দিতে পারেন। সেটা প্রমাণও হয়েছে। তাই বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল একাই একশো।’’
ত্রিপুরা নির্বাচনে মমতা এবং অভিষেক প্রচারে যাবেন বলেও জানিয়েছেন রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের সময় মতো ত্রিপুরায় প্রচারে যেতে পারেন। আর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কবে প্রচারে যাবেন সে বিষয়ে তিনি তাঁর সুচি অনুযায়ী ঠিক করবেন।’’ ত্রিপুরার মতো উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে যে তৃণমূল ভাল ফল করবে, তা-ও জানিয়েছেন ওই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy