পয়লা বৈশাখ তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। ফাইল চিত্র।
আদালতে পেশের সময় হুইল চেয়ারে বসে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, তাঁর বুকে ব্যথা রয়েছে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। জামিন পেলে ভাল হয়।
সে আশা অবশ্য পূরণ হল না। অনুব্রতকে আজ আরও ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। যার অর্থ, পয়লা বৈশাখ তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। অনুব্রত আগেই তাঁকে তিহাড় জেল থেকে আসানসোলের জেলে ফেরানোর জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি ছিল, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)-এর হেফাজত যখন শেষ হয়েছে, তখন তাঁকে আর তিহাড়ে রাখার প্রয়োজন নেই। ইডি তাদের পাল্টা জবাব আদালতে পেশ করেছে। এই মামলার শুনানি হবে আগামী ৮ মে।
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের পরে আসানসোলের জেলের মধ্যেই ইডি অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল। তার পরে তাঁকে ইডি-র হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে আসা হয়। তিহাড় জেলে এখনও অনুব্রতকে ডাক্তারখানাতেই রাখা হয়েছে। কারণ, নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হচ্ছে তাঁকে। জেলের ভিতরে সুচ নিয়ে যাওয়া নিষেধ বলে তাঁকেই ডাক্তারখানায় রাখা হয়েছে। রাতে অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া তিনি ঘুমোতে পারেন না। হুইল চেয়ারে করেই অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আজ অনুব্রত ও তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে আদালতে পেশ করা হলেও তাঁদের হয়ে কোনও আইনজীবী জামিনের জন্য সওয়াল করেননি। দু’দিন আগে দিল্লিতে এক আইনজীবীর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ গোটা দিল্লির আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। ইডি-র আধিকারিকেরাই অনুব্রতদের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহের আদালতে পেশ করেন। বিচারক তাঁদের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy