মণিপুরে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মহিলাদের সমাবেশ। ছবি: পিটিআই।
শুধুমাত্র থৌবল এবং কঙ্গপকপি জেলার সীমানাবর্তী নংপোক সেকমাই থানার অদূরে নয়, গত ৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলেও মহিলাদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। দুই মহিলাকে সে দিন গণধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। থৌবলের মতোই এ ক্ষেত্রেও নির্যাতিতারা জনজাতি গোষ্ঠীর বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
থৌবল জেলার দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) এবং গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে। অন্য দিকে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ধরা হয়েছে ইম্ফলকাণ্ডের পাঁচ অভিযুক্তকে। ধৃতদের মধ্যে ১৯ বছরের এক তরুণও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, দুই মহিলাকে তাঁদের কর্মস্থল থেকে হিঁচড়ে রাস্তায় বার করে এনে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকি এবং জ়ো-দের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশ ‘সক্রিয়তা’ দেখায়নি বলে অভিযোগ। প্রায় ৮০ দিন পরে পুলিশের এই তৎপরতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy