মণিপুরে জ্বলছে নিরাপত্তা বাহিনীর দু’টি বাস। ছবি: পিটিআই।
হিংসাদীর্ণ মণিপুরে এ বার আক্রান্ত নিরাপত্তা বাহিনী। কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি বাসে মঙ্গলবার উন্মত্ত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে সে রাজ্যের সরকারকে।
‘মিশ্র অঞ্চল’ হিসাবে পরিচিত মেইতেই এবং জনজাতি গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এই জেলায়। গত ৪ মে থৌবল এবং কঙ্গপকপি জেলায় সীমানাতেই জনজাতি গোষ্ঠীর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলাসদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দু’টি বাস। সে সময়ই বাস দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হওয়ার পরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহ সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু এখনও শান্তি ফেরার কোনও ইঙ্গিত নেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যে।
মণিপুরে যুযুধান মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। এমনকি, কুকিরা পৃথক রাজ্যের দাবিও তুলেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই দাবিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সহযোগী দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান জোরামথাঙ্গা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy