ফাইল ছবি
তিন সপ্তাহ আগে পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাক-এর কর্তা প্রশান্ত কিশোরের (পি কে) সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে পুর-প্রার্থী তালিকা সাজিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের কর্তৃত্ব তখনই স্পষ্ট করে দেন মমতা। পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে ফের তৃণমূল কংগ্রেস- পি কে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দলীয় শিবিরে। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশ মনে করছে, ভোটে জয়ের কৃতিত্ব অন্য কেউ নিয়ে যেতে পারেন না। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ভাবে দলের রাজনৈতিক ভিত্তি এবং নেতৃত্বের।
বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অবশ্য কোনও নেতা মুখ খুলতে চাইছেন না। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, “আমাদের সঙ্গে আইপ্যাক-এর পাঁচ বছরের চুক্তি রয়েছে। ভোটে জেতার জন্য আমরা একে অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছি।” তিনি না বললেও দলীয় সূত্রের খবর, একটি
অংশের মধ্যেই এই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে যে পি কে ‘জয়ের কৃতিত্ব’ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় যে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা ‘বিভ্রান্তিও’ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন এই অংশটি। কিছু দিন আগেই পি কে বলেছিলেন, রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সম্প্রসারণের বিষয়টি ‘ওভার হাইপড’। তাঁর এই মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি ও ক্ষোভ তৈরি করেছে তৃণমূলে।
আজ এক সাক্ষাৎকারে পি কে-কে বলতে শোনা যায়, “মোদীজি হোন বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— তাঁদের জয়ে আমি কোনও কৃতিত্বের দাবি করছি না।” হঠাৎ এই কথাটি তাঁকে বলতে হচ্ছে কেন, এই প্রশ্ন উঠছে।
নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসাবে ‘ব্যর্থ’ বলে দাবি করে পি কে বলেছেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিরোধী শক্তি তার মুখ খুঁজে পাবে। জমি অধিগ্রহণ আন্দোলন বা সিএএ-বিরোধী কিংবা কৃষক আন্দোলনের কোনও মুখ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy