প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
মোদী জমানায় ব্যাঙ্কের অনাদায়ি ঋণ ৩৬৫% বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অনাদায়ি ঋণ ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছেও দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ি ঋণ বা এনপিএ ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়া হলেও এতদিন অর্থ মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, এই ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়নি। তা উদ্ধারের চেষ্টা চলতে থাকবে। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, মোট অনাদায়ি ঋণের মাত্র ১৩%, ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ব্যাঙ্কের অনাদায়ি ঋণের এই নতুন তথ্য নিয়ে কংগ্রেস আজ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু শিল্পপতিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “মোদী সরকার ছোট ও মাঝারি ব্যবসা শেষ করে দিয়ে মুনাফাখোর শিল্পপতিদের স্বার্থে মানুষের অর্থ নয়ছয় করছে।’’
কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী জমানায় ইচ্ছাকৃত ভাবে শোধ না করা ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২.৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ৩৮ জন শিল্পপতি ব্যাঙ্কের টাকা নয়ছয় করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। গত পাঁচ বছরে ব্যাঙ্কের খাতা থেকে ১০ লক্ষ ৯ হাজার ৫১০ কোটি টাকা মুছে দেওয়া হয়েছে। এর পরিমাণ চলতি অর্থ বছরে সরকারের রাজকোষ ঘাটতির প্রায় ৬১%। এর মধ্যে মাত্র ১ লক্ষ ৩২ হাজারকোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মুনাফাখোর শিল্পপতিরা ঋণ শোধ না করায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের ৭০ থেকে ৮০% লোকসান মেনে নিতে হচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের এই লোকসান পূরণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার আমজনতার করের টাকা খরচ করছে। অথচ আমজনতা ঋণের ইএমআই শোধ না করলে তাঁদের থেকে জোর করে টাকা উদ্ধার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি কেউ এই সব প্রশ্ন নিয়ে ভোটে লড়তে যান না। তাই প্রধানমন্ত্রীকে নিজের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগাতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy