Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ইডি-তল্লাশিতে মোদী সরকারের কড়া সমালোচনায় অ্যামনেস্টি

গত কাল মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর ভারতীয় শাখার বেঙ্গালুরুর সদর দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বেঙ্গালুরুর অফিস।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বেঙ্গালুরুর অফিস।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৭
Share: Save:

গত কাল মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর ভারতীয় শাখার বেঙ্গালুরুর সদর দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই তল্লাশির বিরুদ্ধে মুখ খুলল অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া। এ দিন নরেন্দ্র মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া টুইট করেছে, ‘‘যে সব সংগঠন ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে, সরকার তাদের এই ভাবে চুপ করিয়ে দিতে চাইছে। এটা স্পষ্ট যে নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির মধ্যে সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার দফতরে ইডির তল্লাশি এই উদ্বেগজনক প্রবণতাকেই তুলে ধরছে।’’

অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর আকর পটেলের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বলেন, জরুরি অবস্থা ভারতের ইতিহাসে একটি কালো দাগ, তখন আমরা তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারি না। কারণ সেই কালো দিনের ছায়া ভারতের উপরে আবার এসে পড়েছে। মানবাধিকার রক্ষা করার বদলে, যারা সেই সব বিষয়ে কাজ করছে, সরকার তাদেরকেই নিশানা করছে।’’

গত কাল বেঙ্গালুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার দু’টি দফতরে হানা দেয় ইডি। ইডির কর্তারা জানিয়েছেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা)-র আওতায় এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইডির অভিযোগ, ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়াকে রেজিস্ট্রেশন দিতে অস্বীকার করে। তার পরেই বিদেশি অনুদান
সংক্রান্ত আইন এড়ানোর জন্য তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (এআইআইপিএল) নামে একটি বাণিজ্যিক সংস্থা খোলে। তার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৩৬ কোটি টাকা বিদেশি অনুদান পেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া। এআইআইপিএল বিদেশ থেকে যে ভাবে টাকা পেয়েছে, তা আইন বহির্ভূত বলেও দাবি ইডি-র।

অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশি শেষ হয় মধ্য রাতে। তল্লাশির সময় অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার কর্মীদের বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ল্যাপটপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মোবাইলও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। সংস্থার বেশ কয়েকটি কম্পিটারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ক্ষুব্ধ আকর পটেলের দাবি, ‘‘মানবাধিকার সংগঠনগুলির সঙ্গে অপরাধীর মতো ব্যবহার করছে সরকার। আর দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE