ফাইল ছবি
আদর্শগত সংঘাতের পরিবর্তে মতামত বিনিময়ের জায়গা হোক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, চাইছেন অমিত শাহ। ছাত্র রাজনীতির নামে সংঘর্ষের সমালোচনায় বৃহস্পতিবার সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, গত সাত-আট বছরে দিল্লির বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আরএসএস-এর ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশে অভিযোগ করেও যার কোনও বিহিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিষয়, ‘রিভিজ়িটিং দ্য আইডিয়াজ় অব ইন্ডিয়া, ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া।’ বৃহস্পতিবার ওই সম্মেলনের সূচনা করেন অমিত। পরে নিজের বক্তব্যে দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে হিংসার কড়া নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘সংঘর্ষের মাধ্যমে কোনও আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয় সুস্থ তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে।’’ শাহ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আদর্শগত সংঘাতের পরিবর্তে মত বিনিময়ের স্থান হয়ে উঠুক। কারণ ভাবনা ও আলোচনার মাধ্যমেই কোনও আদর্শ এগোতে পারে। তার পর ভবিষ্যতই ঠিক করে দেবে কোন আদর্শ টিকে থাকবে আর কারা হারিয়ে যাবে।’’
নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্র সংগঠনের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে জেএনইউ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে লাগাতার সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে মূলত এবিভিপি ও বাম রাজনৈতিক দলগুলির দিকে। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রে সরকারে থাকার সুবিধা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের মদতে ছাত্র ইউনিয়নগুলির দখল নিতে মরিয়া এবিভিপি। পুলিশে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এবিভিপি নেতাদের বিরুদ্ধে। যদিও বৃহস্পতিবার ছাত্র রাজনীতিতে সব ধরনের সংঘর্ষের তীব্র সমালোচনা করেই শাহ বলেন, ‘‘যে আদর্শ এ রকম সংঘর্ষকে প্রশয় দেয়, তা কোনও আদর্শই হতে পারে না। বিশেষ করে ভারতের আদর্শ তো হতেই পারে না।’’
অমিতের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব হিসেবে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অমিত শাহ যেখানে দাঁড়িয়ে আলোচনার পক্ষে সওয়াল করলেন, সেই প্রাঙ্গণেই নিত্যদিন এবিভিপি-র কর্মীদের হাতে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন পড়ুয়া এমনকি শিক্ষকরা। অমিত শাহের বক্তব্য নির্মম মশকরা ছাড়া কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy