অমিত শাহ ও অনিল বৈজল।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কাণ্ডের পর, রবিবারই তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার তিনি কথা বললেন দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বৈজলকে জানিয়েছেন অমিত।
রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ-তে মুখোশধারীদের তাণ্ডব নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। মনে করা হচ্ছে, পড়ুয়াদের সেই অভিযোগ শোনার জন্য বৈজলকে বলেছেন অমিত। দিল্লির পুলিশ অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ। ঘটনার পর পরই, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল তাই পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে কথা বলেন। উপরাজ্যপাল বিবৃতি দিয়ে জানান, তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকালই তা নিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলে জেএনইউয়ের বিষয়ে জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জেএনইউ-র পড়ুয়াদের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদতেই পরিকল্পিত হামলা করেছে এবিভিপি। ওই দিন বিকেল থেকেই ক্যাম্পাসে ভিড় জমতে শুরু করে। মুখোশধারী গুন্ডারা প্রথমে সবরমতী ধাবার বাইরে জড়ো হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি নেতা-নেত্রীরা ভাড়াটে গুন্ডাদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে আসেন। এর পর, রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে পড়ুয়াদের উপরে চড়াও হয় তারা। হস্টেলের আলো নিভিয়ে দিয়ে হামলার পাশাপাশি সবরমতী, কাবেরী, পেরিয়ার হস্টেলে ভাঙচুরও চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy