শাহের রোড-শোয়ে দূরত্ব-বিধি শিকেয়। শুক্রবার বরেলীতে। ছবি: পিটিআই
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ধর্মীয় জিগির বাড়ছে বিজেপির। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে তাদের ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’। থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির শীর্ষ নেতারা দিল্লি থেকে এসে জনসভা করছেন নানা জায়গায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যখন
‘কংগ্রেসের গড়’ রায়বরেলীকে বেছেছেন তার সভাস্থল হিসেবে, অযোধ্যায় সভা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অমিত শাহ তাঁর বক্তৃতায় তুলে এনেছেন ১৯৯০-কে। দাবি করেছেন, অখিলেশ যাদবের দল এসপি যখন সরকারে ছিল, করসেবকদের নির্বিচারে গুলি করে মেরে সরযু নদীতে ভাসিয়ে দিত পুলিশ। অমিত বলেন, “অখিলেশ অযোধ্যায় ভোট চাইতে এলে প্রশ্ন করুন, কী দোষ ছিল করসেবকদের? কেন তাদের খুন করা হয়েছে? জানতে চান, কার জন্য রামলালাকে এত দিন তাঁবুতে বসে থাকতে হয়েছে?” রাম মন্দির নির্মাণ হলে হিন্দুদের আস্থা ও বিশ্বাস মর্যাদা পাবে জানিয়ে অমিত বলেন, “সেই কাজ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি করছে। আর বছরের পর বছর মন্দির তৈরিতে বাধা দিয়ে গিয়েছে এসপি, কংগ্রেস ও বিএসপি।”
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে অমিত বলেন, “অখিলেশ যতই চিৎকার করুন, তাঁর দুই প্রজন্ম কেটে গেলেও কাশ্মীরে ৩৭০ আর ফিরবে না। সেই ব্যবস্থা বিজেপি করে দিয়েছে।” অমিতের দাবি, এই বিষয়েও কংগ্রেস, এসপি সব এক। সবাই মিলে বিরোধিতা করেও কিছু করে উঠতে পারছে না।
সনিয়া গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে শুক্রবার যোগীর নিশানা ছিল মূলত কংগ্রেস। তিনি বলেন, “কংগ্রেস দেশের একটি সমস্যার জড়। তবে গোটা দেশ থেকেই কংগ্রেস মুছে যাচ্ছে। রায়বরেলীতেও থাকবে না তারা।” রায়বরেলীর কংগ্রেসি বিধায়ক রাকেশ সিংহকে এ দিন যোগীর মঞ্চে দেখা যায়। তাঁকে দেখিয়ে যোগী বলেন, “রায়বরেলীতে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যে ভাবে বিজেপিতে এসে যোগ দিচ্ছেন, তাতে বলাই যায় কংগ্রেসের শেষের সময় আগত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy