রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। পিটিআই
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে এসে রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকের পরে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও এক জনের চাকরির কথা ঘোষণা হল। ক্ষতিপূরণের টাকার অর্ধেক দেবে কেন্দ্র।
অলিম্পিক পদকজয়ী মীরাবাই চানু, অর্জুনপ্রাপ্ত ভারোত্তলক কুঞ্জরানি দেবী, বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়ন এল সরিতা দেবী, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ওইনাম বেমবেম দেবী-সহ মণিপুরের ১৩ জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ শাহকে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যের অখণ্ডতা সুরক্ষিত না-হলে, অবিলম্বে শান্তি ফেরানো না-হলে ও কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে তাঁরা পুরস্কার ও পদক ফিরিয়ে দেবেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি শান্তির বার্তা নিয়ে মণিপুরে যেতে চান।
পরিস্থিতি যাচাই করতে রাজ্য মন্ত্রিসভার পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসন, সেনা ও আধাসেনার সঙ্গে কথা বলেছেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তিনি সর্বদল বৈঠক করেছেন। মহিলাদের সংগঠন মেইরা পইবি-সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, রাজ্যের বিশিষ্ট নাগরিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এ ছাড়া, চূড়াচাঁদপুরে গিয়ে জনজাতিদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আবার কুকিরাও তাঁর কাছে মণিপুর থেকে পৃথক হওয়ার দাবি পেশ করেছেন। ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের নেতা গিনঝা ভুয়ালঝোং জানান, শান্তি ফেরাতে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সিবিআই ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন। মেইতেই সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কোরকমির দাবি, রাজ্য ভাগ হবে না বলে শাহ তাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আগামিকাল মোরে ও কাংপোকপি যাবেন শাহ। তবে তাঁর সফরের সময়ও রাজ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর এসেছে। সেনার গোয়েন্দা শাখার প্রাক্তন প্রধান এল নিশিকান্ত সিংহ বলেন, দক্ষিণ মণিপুরের সেরো ও সুগনু গ্রামে মায়ানামার থেকে ঢোকা প্রায় ৩০০ সশস্ত্র জঙ্গি তাণ্ডব চালাচ্ছে।
শাহের সফর নিয়ে মমতা বলেন, “কাল একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ‘না’ বলবে। বলেছিলাম, শুধু এক দিনের জন্য মণিপুরে গিয়ে সেখানকার শান্তিকামী মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। সেনাবাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিধি মেনে চলব। শান্তিভঙ্গ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। কাল চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি চেয়েছিলাম, তাই উনি আজ গেলেন। কোনও বার্তা পাইনি।’’
মমতার আরও বক্তব্য, ‘‘অনেক দিন থেকেই বলছি, তাঁদের আগে যাওয়া উচিত ছিল। এত মানুষ মারা যাওয়ার পরে গিয়ে কী হবে!’’ অমিত শাহ মণিপুরের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যে বৈঠক করেন, সেখানে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কেন উপস্থিত ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায়। সেই ছবিও টুইট করেন তিনি।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে ১২ দফা দাবি-সহ স্মারকপত্র দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy