Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

রামমোহন, গাঁধীদের সঙ্গে মোদীর তুলনা শাহের

তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলোপ আইন চালু হওয়ার পরে দিল্লিতে আজ অমিত শাহের একটি বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গবেষণা সংগঠন

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৩
Share: Save:

রামমোহন, গাঁধীজি, অম্বেডকর, সাভারকর, জ্যোতিবা ফুলের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকেও এক পংক্তিতে বসালেন তাঁর সেনাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি, ওঁদের মতো মোদীও সমাজ সংস্কারক।

তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলোপ আইন চালু হওয়ার পরে দিল্লিতে আজ অমিত শাহের একটি বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গবেষণা সংগঠন। সেখানে বিজেপির নেতারা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ‘দুই মহাপুরুষ’ হিসেবে মেলে ধরেন। বিশেষ করে তিন তালাক এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের নিরিখে। অমিত নিজে কোনও কৃতিত্ব নেননি। কিন্তু রাজীব গাঁধী থেকে কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বকে তুলোধনা করে নতুন ‘সমাজ সংস্কারক’-এর তালিকায় যোগ করলেন মোদীর নাম।

মোদীর কথা টেনেই অমিত শোনালেন সমাজের তিন ‘অসুর’-এর কথা— তোষণের রাজনীতি, জাতিবাদ ও পরিবারতন্ত্র। তাঁর কথায়, ‘‘আমার নেতা নরেন্দ্র মোদী তিন অসুর থেকেই সমাজকে মুক্তি দিতে চাইছেন। তিনি সমাজ সংস্কারক। তিন তালাক বিল তিন বার সংসদে আটকে গেলেও হার মানেননি। কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির সামনে মুসলিম মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন।’’ এ কথা বলেই রামমোহন রায় থেকে গাঁধী-সাভারকরদের কথা টেনে অমিত শোনান, অতীতে তাঁরাও কী ভাবে সমাজ সংস্কার করেছেন।

সামনেই হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘জন্মলগ্ন থেকে গেরুয়া শিবিরের তিনটিই মূল লক্ষ্য। রামমন্দির, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। এর মধ্যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে ফেলা হয়েছে। রামমন্দির মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আর তিন তালাক প্রথা বিলোপ অভিন্ন দেওয়ানি বিধিরই প্রথম ধাপ।’’ এই প্রচারকে আরও তুঙ্গে নিয়ে গিয়েই আজ কংগ্রেসকে তোপ দাগেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘৪০০-র মতো আসন নিয়েও রাজীব গাঁধী তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলোপ করেননি। কংগ্রেস আজও বলছে এই কুপ্রথা থাকা চাই। কিন্তু কুপ্রথা সব ধর্মেই বন্ধ হওয়া উচিত। আমিও হিন্দু। কিন্তু আমিও মনে করি, সতীপ্রথা, পণ বন্ধ হওয়া উচিত।’’

বিজেপি শিবিরের একাংশই সম্প্রতি অবশ্য রামমোহন রায়কে ব্রিটিশের পদলেহনকারী বলে আখ্যা দিয়েছিল। সতীপ্রথার গুণগানও করেছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন, তখন বিজেপি নেতৃত্ব চুপ ছিলেন কেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE