স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম বার ভাষার ভিত্তিতে তফসিলি তকমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে রজৌরির জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, গুজ্জর এবং বকরওয়ালদের পর এ বার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকেও তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া হবে।
সাংবিধানিক বিধি মেনে সরকারি শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন বলেও জানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বন্দোবস্ত বাতিল হওয়ার ফলেই এই ধরনের সংরক্ষণ সম্ভব হয়েছে। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, পাহাড়িরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার পাবেন।’’
আরও পড়ুন:
তবে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভাষাগত ভিত্তিতে কোনও জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সংস্থান নেই। পাহাড়িদের জন্য তাই প্রয়োজনীয় সংশোধনী বিল সংসদে পাশ করাতে হবে মোদী সরকারকে। জম্মু ও কাশ্মীরে পাহাড়িদের মোট সংখ্যা ছ’লক্ষেররও বেশি। এঁদের মধ্যে হিন্দু ৫৫ শতাংশ। মুসলিম প্রায় ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
সরকারি সূত্রের খবর, চলতি বছরেই কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হবে। তার আগে ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির’ লক্ষ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের এই তফসিলি-পদক্ষেপ। যদিও তফসিলি জনজাতি তালিকায় থাকা গুজ্জর এবং বকরওয়াল জনগোষ্ঠীর নেতারা মঙ্গলবারই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত শুধু গুজ্জর এবং বকরওয়ালরাই সেখানে ১০ শতাংশ তফসিলি জনজাতি সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন।