অমিত শাহ (বাঁ দিকে) এবং জেপি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
দলে কেন এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
রাজস্থান বিজেপির শীর্ষ নেতাদের জনে জনে এই প্রশ্ন করলেন অমিত শাহ। সূত্রের মতে, গত কাল গভীর রাতের বৈঠকে দলে চলতে থাকা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়েছে রাজ্য নেতাদের। দলীয় নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দল সবার উপরে। তাই সকলকে এক হয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে হবে। সূত্রের মতে, মধ্যপ্রদেশের ধাঁচে রাজস্থানেও বেশ কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে টিকিট দেওয়ার কথা ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তালিকায় রয়েছেন জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালেরা। টিকিট দেওয়া হতে পারে বেশ কিছু সাংসদকেও।
গত কাল সন্ধ্যায় জয়পুরে পৌঁছন অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। দলের কোর কমিটির সঙ্গে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও, বিমানবন্দরের কাছের একটি হোটেল বেছে নেন অমিত শাহেরা। সূত্রের মতে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি পি জোশীর হাতে পনেরো জন নেতার একটি তালিকা ধরিয়ে তাঁদের ওই হোটেলে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। সূত্রের মতে, প্রথমে ডাকা হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় পনেরো মিনিট বৈঠক হয়। সূত্রের মতে, সম্প্রতি রাজ্যে হয়ে যাওয়া পরিবর্তন যাত্রায় কেন যথেষ্ট লোক হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বিজেপির একাংশের মতে, ওই যাত্রায় সক্রিয় ভাবে অংশ নেননি বসুন্ধরা শিবির। দল যে তা ভাল ভাবে নিচ্ছে না, তা বৈঠকে রাজেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তী ধাপে রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রহ্লাদ জোশী, রাজ্য সভাপতি সি পি জোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, অর্জুন মেঘওয়াল, কৈলাস চৌধরি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজেন্দ্র রাঠৌরের সঙ্গে বৈঠক করেন নড্ডা ও শাহ। প্রায় তিন ঘণ্টা ওই বৈঠক চলে। তার পরে আলোচনায় যোগ দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। সূত্রের মতে, তাতে বিভিন্ন এলাকা ও কেন্দ্র ধরে ধরে আলোচনায় বসেন নেতারা। প্রাথমিক লক্ষ্য হিসাবে ঠিক হয়েছে, মেওয়ার, মারওয়াড়, শেখাওয়তি, হাদোতি ও পূর্ব রাজস্থানে আরও বেশি আসন জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে দল।
সূত্রের মতে, গত কালের বৈঠকে গোড়া থেকেই রাজস্থান রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকার সমালোচনায় সরব ছিলেন শাহ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, দলের লক্ষ্য রাজস্থানে ক্ষমতা দখল। তাই যে সব প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে একমাত্র তাঁদেরই টিকিট দেওয়া হবে। কোনও স্বজনপোষণ বা উপরোধ গ্রাহ্য করা হবে না। পাশাপাশি বৈঠকে রাজস্থানের গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে কোন বিষয়গুলি নিয়ে প্রচারে নামা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy