বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন।
অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে মুখ খুলে এ বার বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের জোড়া ফলায় বিদ্ধ হলেন আমির খান!
বিজেপি-র মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন বলেছেন, ‘‘এমন মন্তব্য করে আমির দেশের বদনাম করেছেন।’’
আর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হল, আমির তাঁর ‘ফ্যান’দেরই চটিয়ে ফেলেছেন! দেশের মানুষকে অপমান করেছেন!
দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণে আমির খানের সহিষ্ণুতার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় সরকার! বিজেপি-ও অসন্তুষ্ট। আমির কেন এমন কথা বললেন, তা নিয়েই এখন সরকার ও শাসক দলের নানা স্তরের নেতারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন।
আমির খানের মন্তব্যে সরকারপক্ষ যে সন্তুষ্ট নয়, তার প্রমাণ মেলে আজ কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কথায়। নকভি বলেছেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক প্রচারের হাওয়ায় আমির প্রভাবিত হয়ে পড়েই ওই মন্তব্য করেছেন। এত দিন এ দেশের যে মানুষজন তাঁকে সম্মান দেখিয়ে এসেছেন, আমির ওই মন্তব্য করে তাঁদেরই অপমান করেছেন। তবে আমরা আমিরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে দেব না। উনি এখানে যথেষ্টই নিরাপদ।’’
নকভি এখানে থামলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আরেক প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজ্জু আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি চেষ্টা করেছেন, কেন্দ্রে নতুন সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির হাল কতটা ফিরেছে, তা প্রমাণ করতে। একেবারে সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের জেরে খুনোখুনির সংখ্যা দেশে আগের চেয়ে কতটা কমে গিয়েছে। এর পর নামোল্লেখ না করে আমির খানের মন্তব্য সম্পর্কে রিজ্জু বলেছেন, ‘‘এমন উল্টোপাল্টা কথা না বললেই ভাল হয়।’’
আমির খানের পক্ষে কোনটা ভাল হয়, ঘুরিয়ে এ দিন সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি-র মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেনও। বলেছেন, ‘‘আমির ভুলে যাচ্ছেন, কারা ওঁকে হিরো বানিয়েছে!’’ যার অর্থ, সুরে সুর মেলাতে না পারলেই ‘হিরো’র ‘জিরো’ হয়ে যেতে সময় লাগবে না!
তবে প্রত্যাশিত ভাবেই, আমির খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের সহ সভাপতি সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের বোঝা উচিত মানুষ কীসে বিব্রত বোধ করছেন। আর তার জন্য মানুষের কাছে যাওয়া উচিত সরকারের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy