প্রতীকী ছবি
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত একটি শেল্টার হোম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। নির্দেশ পালন করতে সোমবার সকালে হোমটিতে গিয়েছিলেন মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল পুলিশও। কিন্তু হোম বন্ধের সময়ে শিশুদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের ঘটনা। অভিযোগ, ‘আপনা ঘর’ নামে হোমটির বাসিন্দা ১৪ জন এইচআইভি আক্রান্তকে টেনেহিঁচড়ে বার করে দেওয়া হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে চার বছরের শিশু থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোরও।
সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, হোমটির প্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা শুক্লকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গোলমাল বাধানোর অভিযোগে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশের দাবি, হোম বন্ধে বাধা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী দীপিকা সিংহ হোম বন্ধের সরকারি নির্দেশনামা দেখতে চাইলে তাঁকেও আধিকারিকেরা হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁরা নির্দেশনামা দিতেও অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ আপনা ঘরের ডিরেক্টর সঞ্জীব ঠক্করের।
বিলাসপুরের পদস্থ পুলিশকর্তা প্রশান্ত আগরওয়াল অবশ্য হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, জেলাশাসকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ওই আধিকারিকেরা। প্রিয়াঙ্কা সরকারি আধিকারিকদের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। পার্বতী বর্মা নামে এক আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ঘটনাস্থলে না-থাকলেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আপনা ঘরের ডিরেক্টর সঞ্জীবের বিরুদ্ধেও। বহু বছর ধরে হোমটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এটিই রাজ্যের একমাত্র হোম যেখানে নিখরচায় এড্স আক্রান্তদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। হোমটি চালাতে মাসে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে দাবি সঞ্জীবের। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড়ে অনুদানের জন্য মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সঞ্জীবের অভিযোগ, এর পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক জন আধিকারিক অনুদানের ৩০ শতাংশ অর্থ ঘুষ চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরেই হোমে তল্লাশি চালানো হয়। বিভিন্ন অভিযোগ তুলে হোমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।’’
সঞ্জীবের অভিযোগ, মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী অনিলা ভেদিয়ার কাছে বিষয়টি জানাতে গেলে মূল বিষয়টিকে পাত্তা না-দিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেন, কী ভাবে সংক্রমিত হল শিশুরা। নিরুপায় হয়েই বিলাসপুর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy