প্রতীকী ছবি।
ফের প্রশ্নের মুখে মধ্যপ্রদেশ প্রফেশনাল এগজামিনেশন বোর্ড(এমপিপিইবি)। রাজ্যের কৃষি দফতরে নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়েই ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান।
৮২৩টি পদের জন্য গত ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হয়েছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা বেরোয়। অভিযোগ, তাতে দেখা যায়, একটি কলেজের ১০ জনই পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই ১০ জনই চম্বল ডিভিশনের, একই জাতের। এমনকি একই কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা মধ্যপ্রদেশ জুড়ে।
রাধে জাঠ নামে ভোপালের এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, যে ১০ জন পরীক্ষায় সেরা র্যাঙ্ক করেছেন তাঁরা গ্বালিয়রের একটি সরকারি কলেজ থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন। আরও এক পরীক্ষার্থী সাতনার সচিত আনন্দ বলেন, “সন্দেহটা তখনই হয়েছিল, যখন এমপিপিইবি পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল।”
এমপিপিইবি যে সংস্থাকে পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেটি রাজ্যের কালোতালিকায় ছিল। তার পরেও কী ভাবে ওই সংস্থার হাতে পরীক্ষার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, এই সংস্থাই প্রশ্নপত্র বাইরে প্রকাশ করেছিল। ২০১৭-তেও রাজ্যের পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ফলে কৃষি দফতরের নিয়োগের পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে এবং তাতে যে ওই সংস্থার হাত রয়েছে তা নিয়ে জোরালো দাবি তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। জোরালো হচ্ছে তদন্তের দাবিও।
২০১৩ সালে ব্যাপক দুর্নীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। মধ্যপ্রদেশের মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমপিপিইবি-র তত্ত্বাবধানে সেই পরীক্ষা হয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রবল সামলোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল শিবরাজ সিংহের সরকারকে। এ বারও সেই এমপিপিইবি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy