মুম্বইয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার চার। —প্রতীকী চিত্র।
মুম্বইয়ের শিবাজিনগর এলাকা। শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলির মধ্যে একটি। সেখানেই রাস্তার মধ্যে এক ব্যক্তিকে তরোয়ালের কোপ নাবালকের। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে। কিন্তু নাবালকের থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। রাস্তার উপর ফেলে একের পর এক কোপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আহমেদ পাঠান নামে ওই ব্যক্তির। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনটি ঘটেছিল গত ৮ অগস্ট। শিবাজিনগরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন আহমেদ। সেই সময়েই তিন-চার জন মিলে তাঁকে ঘিরে ধরেন। নাবালকও সেই দলে ছিল। আহমেদ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই নাবালক তলোয়ার দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। ক্ষিপ্র গতিতে তরোয়াল চালাতে থাকে সে। এমনকি পথচলতি মানুষজন আহমেদকে বাঁচাতে গেলে, তাঁদেরও তরোয়াল উঁচিয়ে ভয় দেখায় নাবালক। তরোয়ালের একের পর এক আঘাতে যখন নড়চড়হীন দেহটি রাস্তার উপর পড়েছিল, তখনও একই ভাবে হামলা চালিয়ে যায় ওই নাবালক।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে ওই নাবালক ও তার সঙ্গে থাকা অভিযুক্তেরা মৃত ব্যক্তিকে আগে থেকে চিনতেন। দুই সপ্তাহেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঝামেলা মারামারির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃত আহমেদের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলাও হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির উপর তরোয়াল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। পুরনো শত্রুতার জেরেই ওই হামলা ছিল বলে জানায় পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক বার দিনেদুপুরে জনবহুল রাস্তায় তরোয়াল হাতে হামলার অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy