হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বধূ স্বপ্না। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যেরই অন্য এক জেলার দুই সম্বন্ধীর প্রেমকাহিনি চর্চায় উঠে এসেছে। এ বার ঘটনাস্থল বদায়ুঁ।
কন্যার শ্বশুরের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বদায়ুঁর এক বধূর। চার সন্তানের সেই জননী পালালেন কন্যার শ্বশুরের সঙ্গে। আর এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বধূর নাম মমতা। কন্যার শ্বশুরের নাম শৈলেন্দ্র ওরফে বিল্লু।
মমতার চার সন্তান। তাঁদের মধ্যে এক কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন ২০২২ সালে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কন্যার বিয়ের পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মমতার। কন্যার শ্বশুর শৈলেন্দ্রও মাঝেমধ্যে তাঁর পুত্রবধূর বাপের বাড়িতে আসতেন। মমতার স্বামী ট্রাকচালক। বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াতে হয় কর্মসূত্রে। মাঝেমাঝে বাড়ি ফিরতেন। আর অন্য সময় সংসার খরচের জন্য টাকা পাঠিয়ে দিতেন।
মমতার সন্তানেরা জানিয়েছে, তাদের বাবা দু’মাস অন্তর বাড়ি আসেন। তাদের দিদির শ্বশুর মাঝেমধ্যেই বাড়িতে আসতেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কন্যার বিয়ে দেওয়ার পরই তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মমতার। পরে সেই সম্পর্কে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দিন দুয়েক আগে আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মমতা। তাঁর হদিস না পাওয়ায় মমতার সন্তানেরা বিষয়টি বাবাকে জানায়। এমনকি দিদিকেও ঘটনাটি জানায়। অন্য দিকে, মমতার কন্যার শ্বশুরেরও খোঁজ মিলছিল না। ফলে দুই পরিবারেরই সন্দেহ বাড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কন্যার শ্বশুরের সঙ্গে পালিয়েছেন মমতা। দাতাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কেকে তিওয়ারি জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে আলিগড়ের এক বধূ কন্যার হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়। এক সপ্তাহ বাইরে থাকার পর আবার ফিরে আসেন তাঁরা। যদিও আলিগড়ের ওই বধূ জানিয়েছেন, তিনি কন্যার হবু স্বামীর সঙ্গেই সংসার করবেন।