আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) মামলায় কাউকে তলব করতে গেলে কোন ‘অপরাধ’-এর জন্য ডাকা হচ্ছে, তা-ও উল্লেখ করতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে। সম্প্রতি এক মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে এই নির্দেশ দিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। অর্থাৎ, তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে কোনও অপরাধ ঘটেছে বলে মনে করলে, সে কথা জানাতে হবে তলবের সময়ে।
উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি মামলায় ইডি তলব করেছিল অঙ্কুর আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে। তবে তিনি হাজিরা দেননি ইডির দফতরে। তাঁর আইনজীবীর দাবি, পিএমএলএ-র আওতায় তলব করা হয়েছিল অঙ্কুরকে। কিন্তু কেন তলব করা হয়েছে, তা জানতেন না তাঁর মক্কেল। কোন ‘অপরাধ’-এর বিষয়ে তলব করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ইডির ওই সমন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, মামলাকারীর বিরুদ্ধে ইডি কোনও ‘অপরাধ’-এর যোগ পেলে নতুন করে তলব করতে পারে।
আরও পড়ুন:
হাই কোর্টের বিচারপতি রাজেশ সিংহ চৌহানের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে ইডির আইনজীবী জানান, কাউকে তলব করা হচ্ছে মানে নিশ্চয়ই কোনও মামলার তদন্ত চলছে। তবে ওই মামলাকারীর ক্ষেত্রে কেন নির্দিষ্ট ভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি, তা আদালতে স্পষ্ট জানাতে পারেননি ইডির আইনজীবী। এ বিষয়ে তথ্য জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরও সময় চান তিনি। তবে মামলাটি দীর্ঘায়িত করতে চায়নি আদালত। তাই ইডির ওই সমন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। যদি মামলাকারীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকে, তবে বিস্তারিত তথ্য-সহ নতুন করে তলব করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছে, ইডির সমনে ওই ব্যক্তি তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজিরা দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।