ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে হেনস্থার অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। লজ্জায় গায়ে আগুন দিয়েছে সে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের মালিহাবাদ এলাকার। ১৭ বছরের ওই কিশোরীর বাবা পেশায় গাড়িচালক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শরীর খারাপ থাকায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তাঁদের কন্যা একাই ছিল। সে সময়ে পাড়ার এক যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, তিনি কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেন। সে চিৎকার করে উঠলে ভয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত লজ্জিত হয়েছিল কিশোরী। তার শ্লীলতাহানির কথা বাইরের কেউ জানতে পারলে কী হবে, তার বাবা-মা জানতে পারলে কী বলবেন, এই ভেবে সে অস্থির হয়ে পড়েছিল। বাড়িতেই গায়ে আগুন দিয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন:
গায়ে আগুন দেওয়ার পর কিশোরী চিৎকার করে উঠলে পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় তার বাবা-মাকে। দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে কিশোরীকে তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যান। এখনও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক।
অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর বাবা-মা। সে দিনই থানায় তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ডিসিপি লখনউ বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁকে ধরা যায়নি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামোর ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।