—প্রতীকী চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। জামিনের শর্ত হিসাবে আদালত জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নির্যাতিতাকে বিয়ে করবেন অভিযুক্ত এবং সদ্যোজাতের দায়িত্বও নেবেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণন পহলের আরও নির্দেশ, জামিনে মুক্তির ছ’মাসের মধ্যে সদ্যোজাতের নামে ব্যাঙ্কে দু’লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানত খুলতে হবে।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের কন্যা নাবালিকা। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকা নন। হাড় পরীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে আইনজীবীর জানান, নির্যাতিতার বয়স ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ধর্ষণের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন আইনজীবী। বরং, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তুলে ধরার চেষ্টা করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তিনি আরও জানান, গোপন জবানবন্দিতেও বলপ্রয়োগ করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠে আসেনি।
আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী জামিনের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে রাজি এবং সদ্যোজাতের দায়িত্বও নিতে প্রস্তুত। জামিন মিললে অভিযুক্ত তাঁর স্বাধীনতার অপব্যবহারও করবেন না বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তের জামিন দিয়েছে আদালত। ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতির মন্তব্য, “কোন ঘটনাটি প্রকৃত অর্থে নির্যাতন এবং কোন ঘটনাটি সম্মতিতে হয়েছে, তার ফারাক করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। যাতে কারও প্রতি অবিচার না হয়, তা নিশ্চিত করতে আদালতকে যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি দেখতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy