কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্ব বিতর্কে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। এ বার সেই সময়সীমা আরও ১০ দিন বৃদ্ধি করল উচ্চ আদালত। আগামী ৫ মে-র মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এর আগে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রকে সোমবারের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চার সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিচারপতি এআর মাসুদি এবং বিচারপতি অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ। যদিও রিপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্র। তবে ওই আবেদন খারিজ করে সোমবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয়, রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। তবে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। এর পরেই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আরও ১০ দিন সময় দিয়েছে আদালত। ৫ মে ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিনই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সাল থেকেই রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক চলছে। রাহুলের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সে সময় সুব্রহ্মণ্যম রাহুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে কথা উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলেরও দাবি জানিয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম। পরে এই নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামে এক বিজেপি কর্মী। সেখানেই রাহুলের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সাংসদপদ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।