শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (ছবিতে বাঁ দিকে)। সঙ্গে অজিত পওয়ার (ডান দিকে) এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস। —ফাইল চিত্র।
এনসিপি এবং কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে জোট বেঁধে সরকার গড়ার কারণেই আদর্শগত জায়গা থেকে শিবসেনা ছেড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এর সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও দল ছাড়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এমনটাই দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারে সেই এনসিপির একটি গোষ্ঠীর সঙ্গেই ঘর করতে হবে জেনে নাকি যারপরনাই অসন্তুষ্ট শিন্ডে। শিবসেনার একটি সূত্রের খবর, অজিত পওয়ারকে নিজের ‘ডেপুটি’ হিসাবে বেছে নেওয়ায় ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে শিন্ডের। বুধবার শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিন্ডে। সেই বৈঠকের পর তিনি নিজে মুখ না খুললেও দলের প্রবীণ নেতা উদয় সামন্ত জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক রয়েছে। দলে কোনও মতফারাক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও এর পরেও জল্পনা থামছে না। শিবসেনা সূত্রের খবর, দলের কিছু বিধায়ক শিন্ডের কাছে এই মর্মে অনুযোগ জানান যে, সরকারের পুরনো শরিক হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রিসভায় শিবসেনার চেয়ে অজিত গোষ্ঠীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা ছাড়াও বিধায়কদের একাংশের বক্তব্য, শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে সব সময় এনসিপি এবং শরদ পওয়ারের রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন। তা হলে কী ভাবে এখন সেই পওয়ারের ভাইপোর সঙ্গেই হাত মেলাল দল?
গত জুন মাসে সাবেক শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন শিন্ডেরা। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের উপর দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে কি না, তা এখনও আদালতে বিচারাধীন। আদালতে শিন্ডে গোষ্ঠীর বিধায়কদের পদ খারিজ হলে যাতে সরকার না পড়ে, সে কারণেই কি বিকল্প হিসাবে অজিতদের নিয়ে এল বিজেপি— এই প্রশ্নও উঠছে শিবসেনার অন্দর থেকেই। এর মধ্যে বুধবারই উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত ‘কোনও এক দিন’ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
শিন্ডে শিবিরের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, তিন দলের সরকার গঠিত হওয়ায় উন্নয়নের কাজ আরও গতি পাবে মহারাষ্ট্রে। ২০২৪ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে এনসিপির অজিত গোষ্ঠী, বিজেপি এবং শিবসেনা একযোগে লড়বে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। শিন্ডে শিবিরকে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি উদ্ধব ঠাকরে শিবির। তারা শিন্ডের একটি পুরনো ভিডিয়ো টুইট করে লিখেছে, ‘আপনার কি মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা?’ সেই ভিডিয়োয় এনসিপির কঠোর সমালোচনা করতে শোনা যাচ্ছে শিন্ডেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy