Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rape

কামড়ানোর চিহ্ন শরীরে, শারীরিক অত্যাচারের শিকার বোন! সন্দেহ দাদার, কবর খুঁড়ে তোলা হল দেহ

পরিবারের লোকজনের মনে হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছে সে। এমনটাই ধরে নিয়ে থানা-পুলিশে না গিয়েই নাবালিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন তাঁরা। সে সময় কাজের সূত্রে বিহারে ছিলেন অভিযোগকারী।

Representational Image of dead dody

শেষকৃত্যের আচার মেনে স্নান করানোর সময় বোনের শরীরে ক্ষতের চিহ্ন মেলে বলে জানিয়েছেন নাবালিকার দাদা। —প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
আলিগড় শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১৩:১৬
Share: Save:

কর্মসূত্রে ভিন্‌রাজ্যে থাকায় নাবালিকা বোনের শেষকৃত্যে হাজির হতে পারেননি। পরে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন, বোনের দেহে কামড়ানোর একাধিক চিহ্ন ছিল। তাতেই সন্দেহ হয়, ধর্ষণের শিকার তাঁর বোন। উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির এই অভিযোগে তাঁর বোনের দেহ কবর খুঁড়ে তুলল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ মে আলিগড় জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাড়িতে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজনের মনে হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছে সে। যদিও তা নিয়ে থানা-পুলিশের বদলে নাবালিকার শেষকৃত্য করেছিলেন তাঁরা। সে সময় কাজের সূত্রে বিহারে ছিলেন অভিযোগকারী। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ওই ব্যক্তির দাবি, বোনের শেষকৃত্যের পরে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এর পর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, বোনের শরীর জুড়ে কামড়ানোর চিহ্ন ছিল। এমনকি, বেশ কয়েক জায়গায় কাটার দাগও ছিল। এর পরেই তাঁর সন্দেহ হয়, বোনকে হয়তো ধর্ষণ করা হয়েছিল। সে জন্যই থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমার বোন আত্মহত্যা করেছে বলে গত সোমবার বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল। তবে আমি বিহারে থাকায় শেষকৃত্যে থাকতে পারিনি। বাড়ির লোকজন বলেছিল, সোমবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না বাবা। দু’বোন নীচের তলায় ঘুমোচ্ছিল। সকালে উঠে ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছিল এক বোন। গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও বোনের পা মেঝেয় রাখা একটি ইটের উপরে ঠেকে ছিল। শেষকৃত্যের আচার মেনে স্নান করানোর সময় বোনের শরীরে ক্ষতের চিহ্ন মেলে। আমার সন্দেহ হচ্ছে, ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাবালিকার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আলিগড়ের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) পলাশ বনসল বলেন, ‘‘ওই নাবালিকার পরিবারের এক সদস্যের সন্দেহের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy