Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Ajay Bhalla

কী ভাবে টিকা ফ্রন্টলাইন কর্মীদের, বৈঠকে মন্ত্রক

বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রয়োজনের ভিত্তিতে কারা টিকায় অগ্রাধিকার পাবে, তা নিয়ে কেন্দ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।

ফ্রন্টলাইন কর্মীরা প্রথম দফায় করোনার টিকার অগ্রাধিকার পাবেন। ছবি রয়টার্স।

ফ্রন্টলাইন কর্মীরা প্রথম দফায় করোনার টিকার অগ্রাধিকার পাবেন। ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share: Save:

এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, ২ কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মী (করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন) ও বাকি ২৭ কোটি পঞ্চাশোর্ধ্ব অথবা অসুস্থ নাগরিককে প্রথম দফায় করোনার টিকা দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা আজ এই নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে কারা টিকা পাবেন, কী ভাবে পাবেন, রাজ্যের সঙ্গে কী ভাবে সমন্বয় করা যেতে পারে, কোন সময়ে টিকা ভারতের বাজারে পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রয়োজনের ভিত্তিতে কারা টিকায় অগ্রাধিকার পাবে, তা নিয়ে কেন্দ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি দুই কর্মীই থাকবেন। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী, হোম গার্ড, সামরিক বাহিনী, জরুরি বিভাগের কর্মী ও পুরকর্মীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে, টিকা নিয়ে মানুষের মনে ভয় দূর করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাকি টিকার মতো করোনার টিকাতেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ ফল মিলতে পারে, যা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ বিষয়ে জনতাকে বোঝাতে সচেতনতা অভিযানে নামার পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। ও দিকে, জনসাধারণের স্বাস্থ্যের উপরে কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বুঝতে ভারতের সঙ্গে একযোগে গবেষণা করার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই খাতে ৪০ লক্ষ অস্ট্রেলীয় ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে সে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ লক্ষ ৬৮ হাজারের কাছাকাছি। একটানা চার দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষের কম। এ দিকে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আজ জানান, দিল্লিতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা না কাটলেও তা কমতির দিকে। গত কাল মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজারের কাছাকাছি, মৃত্যু হয় ৫০ জনের। ১ নভেম্বরের পরে দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে যা সবচেয়ে কম। জৈন বলেছেন, ‘‘আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ফলে আমরা নিশ্চিত, তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ সম্পূর্ণ না কাটলেও তা কমছে।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন বাজারে আসার পরে সমগ্র দিল্লিবাসীকে এক সপ্তাহের মধ্যে তা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ও প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ২ লক্ষ মানুষ করোনার টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রীর বক্তব্য, দিল্লিতে কোভিড রোগীদের জন্য ১৩ হাজার শয্যা উপলব্ধ, যা দেশের অন্য কোনও রাজ্যে নেই।

আগামী সপ্তাহ থেকে হরিয়ানায় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। তবে তার জন্য কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে পড়ুয়াদের। স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় এ-ও বলা হয়েছে, ক্লাস হবে সকাল ১০ থেকে বেলা ১টা। এ দিকে, মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে। সেখানে আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৪১ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy