সমস্যার সূচনা হয়েছিল এক দশক আগেই। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং পঞ্জাব, রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোনের হানাদারি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলায় নতুন কৌশল নিতে চলেছে ভারতীয় সেনার ‘আর্মি এয়ার ডিফেন্স’ (এএডি) বাহিনী।
এএডির ডিরেক্টর জেনারেল তথা ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিক সুমের ইভান ডি’কুনহা জানিয়েছেন, নিচু উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়া ড্রোন চিহ্নিতকরণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে চলেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বর্তমান নজরদারি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত রাডারগুলি অক্ষম। সেই খামতি মেটাতে আমরা এলএলএলআর (লো লেভেল লাইট রাডার) আনতে চলেছি।’’ পাহাড় এবং জঙ্গলঘেরা এলাকায় ছ’-সাত কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারি চালাতে সক্ষম এলএলএলআর। খুব নিচু দিয়ে ওড়া ছোট ড্রোনকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
রাজীব গান্ধীর জমানায় কেনা বিতর্কিত সেই ১৫৫ মিলিমিটার হাউইৎজারের নির্মাতা বফর্সের অন্য এক সংস্করণের সাহায্যে প্রায় পাঁচ বছর আগে ড্রোন হানাদারি রুখতে সক্রিয় হয়েছিল ভারতীয় ‘আর্মি এয়ার ডিফেন্স’ বাহিনী। সেটি হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ-ভারতীয় বাহিনীর ব্যবহৃত ৪০ মিলিমিটার বিমান বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামান (অটো ক্যানন)। প্রায় ৮৫ বছরের পুরনো সেই বফর্স এল-৭০ বিমান বিধ্বংসী কামানের সাহায্যে ইতিমধ্যে কিছু সাফল্যও মিলেছে। ৫০০ মিটার পর্যন্ত যে কোনও উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই হালকা স্বয়ংক্রিয় কামানগুলি মোতায়েন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা ও সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়।
এর পরের ধাপে পাক ড্রোনকে নিশানা করতে জ্যামার বন্দুকের ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে সেনা এবং বিএসএফ। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমেরের ঘোযণা এ বার আসতে চলেছে হাইব্রিড সিস্টেম। যার মধ্যে জ্যামার এবং ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপনস (ডিইডব্লিউ), যেমন লেজার এবং হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (এইচপিএম)-সহ এলএলএলআর শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি শত্রুপক্ষের ড্রোনকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘স্মার্ট অ্যামুনেশন’ ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে সেনা।