বিহারে শিশুমৃত্যুর প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল। রবিবার মুজফ্ফরপুরে। ছবি: পিটিআই।
বিহারে অন্তত দেড়শোটি শিশুর প্রাণ যাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ খোঁজার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মুজফ্ফরপুর ও আশপাশের এলাকায় ‘অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোম (এইএস)’-এর কারণে গত এক মাসে কেন এত শিশুর মৃত্যু হচ্ছে, কেনই বা ওই রোগ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে তা খতিয়ে দেখতে দিল্লির এমস-কে দ্বায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আগামী মাস থেকে কারণ খোঁজার কাজ শুরু করবে এমসের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
রোগের কারণ নিয়েও চিকিৎসক সমাজ কার্যত ধোঁয়াশায়। এ পর্যন্ত শুধু জানা গিয়েছে, খালি পেটে লিচু খাওয়ার সঙ্গে ওই রোগ ছড়ানোর সম্পর্ক রয়েছে। কার্য-কারণ বুঝতে ওই রোগে আক্রান্ত এলাকার ১ মাস শিশু থেকে ১৮ বয়সের কিশোরের সামগ্রিক রক্ত ও জিনগত পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে ফি বছর ওই রোগের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে প্রাণহানি। এমসের শিশু বিভাগের অধ্যাপক শেফালি গুলাটি বলেন, ‘‘কারণ খুঁজতে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তাতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা কোনও পরজীবীর সংক্রমণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। লিচু খাওয়ার সঙ্গে ওই রোগের সরাসরি কী প্রভাব রয়েছে— তা জানতে বিশেষ ধাঁচের শারীরবৃত্তীয় পরীক্ষা করে দেখা হবে।’’
এক দল চিকিৎসকের দাবি লিচু খাওয়ার সঙ্গে ওই রোগের কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয় পক্ষের যুক্তি, ভারতের মুজফ্ফরপুরের মতো বাংলাদেশ বা ভিয়েতনামে যেখানে লিচু উৎপাদনকারী বলয় রয়েছে, সেখানেই শিশুদের ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। চিকিৎসক গুলাটির কথায়, ‘‘বেশ কিছু সার্ক-ভুক্ত দেশ থেকেও একই উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শিশুরা এমসে ভর্তি হয়েছে। তাই ওই রোগের সামগ্রিক চিত্রটি বোঝা খুবই প্রয়োজন।’’ এমস সূত্রের খবর, শিশু শরীরে এইএস ছাড়াও ডেঙ্গি, চিকেনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস, ই-কোলাই, ইনফ্লুয়েঞ্জা(এইচ) কী প্রভাব ফেলে, তা-ও খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দলটি।
শিশুমৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভ-সমালোচনার মধ্যেই বিহারে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দুর্দশা ফের সামনে এল আজ। এ দিন মুজফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউয়ের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।
আজ প্রতিবাদ দিবস: বিহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আজ, সোমবার প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিল এসইউসি।
সব রাজ্যের রাজধানী শহরে রাজ্যপালের কাছে দাবিপত্র দেবে তারা।
এসইউসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের দাবি, মৃত শিশুদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy