শিবরাত্রির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে গিয়েছিলেন তিনি। ঈশা ফাউন্ডেশনের যোগ সেন্টারে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান সদ্গুরু শ্রী জাগ্গি বাসুদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছিলেন। আর তার জেরে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়লেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার।
ঘটনাচক্রে, কোয়ম্বত্তূরের ঈশা যোগ সেন্টারে শিবরাত্রি পালনের ওই উৎসবে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। আর তা-ই নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। যদিও কংগ্রেসের তরফে সরাসরি শাহের উপস্থিতির প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। এআইসিসির সম্পাদক পিভি মোহন বৃহস্পতিবার শিবকুমারকে নিশানা করে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘যিনি রাহুল গান্ধী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এমন এক জন ব্যক্তির আমন্ত্রণ উনি (শিবকুমার) কেন গ্রহণ করলেন!’’ কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর আচরণ কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দলের নীতির পরিপন্থী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অতীতে রাহুল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সদ্গুরু। তা ছাড়া, ওই আধ্যাত্মিক নেতার বিরুদ্ধে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠতার পুরনো অভিযোগও রয়েছে। মোহনও সামাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ওঁর চিন্তাধারা আরএসএসের অনুসারী।’’ দু’বছর আগে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের দ্বন্দ্ব বেধেছিল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে শিকে ছিঁড়েছিল সিদ্দারামাইয়ার কপালে। যদিও প্রকাশ্যে কখনও এ বিষয়ে ক্ষোভ জানাননি শিবকুমার। বরং তেলঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। কিন্তু চলতি ঘটনাপ্রবাহের জেরে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।