তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এডিএমকে নেতা ডি জয়কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
তামিলনাড়ুর ৩৯টি লোকসভা আসনের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে আপাতত বিজেপির সঙ্গে এডিএমকে-র জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সোমবার এ দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এডিএমকে নেতা ডি জয়কুমার।
‘এনডিটিভি’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জয়ললিতার নাম না করে তাঁকে নিশানা করার জেরেই যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের উপর তিনি ক্ষুব্ধ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়কুমার। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’’ যদিও রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পাল্টা দাবি, এ বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেওয়া হবে।
চলতি বছরের জুনে একটি সাক্ষাৎকারে আন্নামালাইয়ের দাবি ছিল, ‘‘তামিলনাড়ুর বহু সরকারই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। আইনের চোখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সে কারণেই দেশের মধ্যে অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ু। আমি তো বলব, দুর্নীতিতে এ রাজ্য এক নম্বরে রয়েছে।’’ আন্নামালাইয়ের এই মন্তব্যের জেরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। জয়ললিতা বা এডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা এমজিআরের পরামর্শদাতা সিএন আন্নাদুরাইয়ের নাম না করলেও ওই মন্তব্যের নিশানা তাঁরা ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর জেরে রাজ্যে বিজেপি-এডিএমকে জোট ভাঙনের মুখে পড়ে। তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে নেতা জয়কুমারের আরও দাবি, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন্য আন্নামালাই অনুপযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতেই কুকথা বলেন তিনি।’’ পাশাপাশি, আন্নামালাইয়ের উপর বিজেপির রাশ টানা উচিত বলেও মনে করেন জয়কুমার। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মান মেনে নেবেন না দলীয় কর্মীরা।
গত মার্চেও বেসুরো শোনা গিয়েছিল আন্নামালাইকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-এডিএমকে জোটের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে তাঁর উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জয়কুমার বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা চাইলেও এডিএমকে-র সঙ্গে জোটের ইচ্ছা নেই আন্নামালাইয়ের। আমাদের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে এই সমালোচনা কি সহ্য করা উচিত? আমরা আপনাদের দায় নেব কেন? বিজেপি এখানে (তামিলনাড়ুতে) পা রাখতে পারেনি। এখানে আপনাদের ভোটব্যাঙ্কের জোর কত, তা-ও অজানা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy