প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মঙ্গলবার সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর মঙ্গলবার গভীর রাতেই এই নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্যেরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়া বৈঠকে প্রস্তাবিত আইনের সম্ভাবনার দিকটি নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় আইন কমিশন আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চেয়েছিল। মঙ্গলবারের বৈঠকে স্থির হয়, আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে একটি খসড়া প্রস্তাব আইন কমিশনকে পাঠাবে ল বোর্ড।
লোকসভা ভোটের আগে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেন্দ্র-নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফেও এই বিষয়ে ‘তৎপরতা’ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে জনমত তৈরির কাজ শুরু করে দেন। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তাঁর প্রশ্ন— ‘‘কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তা হলে কি সেই সংসার চালানো যায়?’’
এর পর সেই যুক্তিকে জাতীয় প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসেন মোদী। বলেন, ‘‘দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তা হলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলেছে।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৪ সালে ভোটের আগেই কেন্দ্র যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে তৎপর, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মঙ্গলবার তা স্পষ্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বিজেপি-আরএসএসের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে অযোধ্যায় রামমন্দির, ৩৭০ রদ, সিএএ বাস্তবায়িত করেছে মোদী সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা এখনও বাকি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিধিকে বিজেপি ‘তুরুপের তাস’ করতে চাইছে বলে বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ। কারণ, এর ফলে মুসলিম সংগঠনগুলি তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে আপত্তি তুলবে। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, সেই সুযোগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সমস্যাগুলি তখন পিছনের সারিতে চলে গিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিই প্রধান হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy