ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে অনড় শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। ছবি-পিটিআই
ব্যর্থ আলোচনা। ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে অনড় শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। মজুরি বৃদ্ধির দাবি না মেটায় গোটা দেশ জুড়ে ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার এবং ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ব্যাঙ্ক কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসে ন’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরেও সমাধানসূত্র না বেরনোয় ওই দু’দিন তারা ধর্মঘটের পথ থেকে সরে আসছে না বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলির নেতাদের সূত্রে খবর, তাঁরা দাবি জানিয়েছেন অন্তত ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন তাতে রাজি হয়নি। তাদের প্রস্তাব ছিল, ১২.২৫ শতাংশ। কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, আইবিএ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না। সে কারণেই আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে।
পর পর দু’দিন ধর্মঘট ডেকেছে যৌথ মঞ্চ। ২ ফ্রেব্রুয়ারি রবিবার হওয়ায় টানা তিন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। এর পাশাপাশি এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে কি নাতার নিশ্চয়তাও দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে চলেছেন গ্রাহকেরা। এর মধ্যে সমাধানসূত্র না মিললে আপাতত ভোগান্তি থেকে রেহাই নেই।
আরও পড়ুন-নির্ভয়া: দণ্ডিত অক্ষয়কুমারের আর্জি খারিজ কোর্টে, প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিনয়
১৩ জানুয়ারি মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ন’টি শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। কিন্তু, ওই দিন কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করে ইউনিয়নগুলি।
আরও পড়ুন-মোদী এবং গডসে একই আদর্শে বিশ্বাস করেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাহুলের
ধর্মঘট হলে প্রভাব পড়বে ব্যবসায়িক লেনদেনে। শনিবার বাজেট পেশ হবে সংসদে। শেয়ার বাজারও খোলা থাকবে। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোলা না থাকলে ব্যবসায়ীরা লেনদেনে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy