জোড়া হোটেলের পর জোশীমঠে একটি আস্ত কলোনি ভেঙে দেবে প্রশাসন। — ফাইল ছবি।
ফাটলে ভরা জোশীমঠের দু’টি বড় হোটেল ভেঙে ফেলেছিল প্রশাসন। এ বার মেরামতির অযোগ্য অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া জোশীমঠের একটি কলোনিকেও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। সোমবার উত্তরাখণ্ড সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘জেপি রেসিডেন্সিয়াল কলোনি’কে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হবে। কারণ ফাটলের জেরে এই কলোনিটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, তা আর নতুন করে মেরামত বা নির্মাণ সম্ভব নয়। এতে পাহাড়ের ঢালের উপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
কয়েক দিন আগেই জোশীমঠের দু’টি সবচেয়ে বড় হোটেল, ‘মাউন্ট ভিউ’ এবং ‘মালারি ইন’ ভেঙে ফেলে প্রশাসন। এ বার একই অবস্থা হতে চলেছে জেপি কলোনিরও। ওই কলোনিতে ৩০টির বেশি বাড়ি আছে। তার বেশির ভাগ বাড়িতেই বড় বড় ফাটল ধরেছে। এক বাসিন্দার দাবি, প্রতিদিনই যেমন ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনই পুরনো ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। শুধু বাড়িই নয়, এলাকার কালভার্টেও ফাটল ধরেছে। সেগুলিও ভেঙে ফেলা হবে। জেপি কলোনিতে একটি ব্যাডমিন্টন কোর্ট এবং একটি সুইমিং পুলেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এই সবল স্থান ব্যবহারের অযোগ্য বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ফলে ভাঙা পড়তে চলেছে সেগুলিও।
ফাটলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয় বার জোশীমঠে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। তখন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, একান্তই বাধ্য না হলে প্রশাসন কোনও বাড়ি ভাঙার রাস্তায় যাবে না। তাই বাসিন্দারা যেন কোনও ধরনের গুজবে কান না দেন। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ধামি নির্দেশ দিয়েছিলেন, একান্তই প্রয়োজনীয় মনে না হলে যেন কোনও সম্পত্তিতে হাত না দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপচারিতা চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও সে দিনই শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, জেপি কলোনির বেশির ভাগ বাড়িতেই বড় বড় ফাটল। সেই ফাটল ক্রমশই বড় হচ্ছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে গোটা কলোনিই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy