ভারত-মায়ানমার সীমান্ত। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া বসানোর কাজ শুরু হল। সরকারি সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা ওই দুর্গম সীমান্তে কাজের বরাত পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন’ (বিআরও)।
দেশের সীমান্তবর্তী অধিকাংশ সড়ক এবং সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে বিআরও। সাধারণ ভাবে ভারতীয় সেনার এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের এক অফিসার ওই সংস্থার দায়িত্বে থাকেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই উত্তর-পূর্বের সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। অসমের তেজপুরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, মায়ানমার সীমান্ত ধরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে।
গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের একটি কর্মসূচিতে শাহ বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তের মতোই মায়ানমার সীমান্তকে সুরক্ষিত করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অসমের সমস্ত বন্ধুকে জানাতে চাই, নরেন্দ্র মোদীর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মায়ানমার সীমান্ত ধরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে।”
মূলত অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গি তৎপরতা রুখতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তা ছাড়া, মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের সঙ্গে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের জেরে কয়েক হাজার শরণার্থী মিজ়োরামে আশ্রয় নিয়েছেন। যা কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ।
বস্তুত, শাহের ঘোষণার আগেই মায়ানমারের সীমান্তের কয়েকটি এলাকা বেছে নিয়ে বেড়া বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই মায়ানমার লাগোয়ো মণিপুরের টোঙ্গনৌপল জেলার মোরের ১০ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে মায়ানমারে স্থলসীমান্ত প্রায় ১,৬৪৩ কিলোমিটার। মণিপুরের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও তিন রাজ্য— নাগাল্যান্ড, মিজ়োরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy