গৌতম নওলাখা। —ফাইল চিত্র
গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক তথা সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। বম্বে হাই কোর্ট গৌতমকে আগেই জামিন দিয়েছিল। তবে উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানায়, তারা আর জামিনে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করবে না। যার অর্থ, জেল থেকে মুক্তির পর এ বার গৃহবন্দিত্ব থেকেও মুক্তি পেলেন গৌতম।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “গৌতম চার বছর ধরে কারারুদ্ধ রয়েছেন। তাই হাই কোর্ট সব দিক খতিয়ে দেখে তাঁকে জামিন দিয়েছিল। তাই শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কোনও বিতর্কে না গিয়ে স্থির করেছে যে, তাঁর জামিনের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা হবে না।” ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে মুম্বইয়ের একটি লাইব্রেরিতে বন্দি রাখা হয়েছিল তাঁকে। তার আগে অবশ্য তিনি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে বন্দি ছিলেন।
২০১৮-র ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত ও উচ্চবর্ণের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু হয়। দলিতদের উপর হামলার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই মামলাতেই একে একে গ্রেফতার করা হয় সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ পেরেরা, রোনা উইলসন, আনন্দ তেলতুম্বডে, ভারাভারা রাও, হানি বাবু, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, গৌতম নওলখার মতো ব্যক্তিত্বকে। পুণে পুলিশের দাবি ছিল, ওই সমাবেশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল সিপিআই (মাওবাদী)-এর।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হোক, ২০২২ সালে জেল থেকে মুক্তি পেতে আদালতে এই আবেদন করেছিলেন গৌতম। আদালত তা মঞ্জুর করে। সেই নির্দেশকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) চ্যালেঞ্জ জানায় সুপ্রিম কোর্টে। এনআইএর দাবি ছিল, চিকিৎসা নিয়ে জেনেশুনে আদালতকে ভুল পথে চালিত করেন ৭০ বছরের গৌতম। কিন্তু শীর্ষ আদালত এনআইএর আবেদন খারিজ করে দিয়ে গৌতমকে গৃহবন্দি রাখার পক্ষেই রায় দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy