দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর নাবালক পুত্র নয়, দুর্ঘটনার সময় পোর্শের চালকের আসনে ছিলেন তাঁদেরই গাড়িচালক। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা ইমারতি ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল। এই দাবি আবার সমর্থন করেছে কিশোরের দুই বন্ধু। তাদের দাবি, ঘটনার সময় তারাও গাড়িতে ছিল।
অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা বিশাল আগরওয়ালের এই নতুন দাবি ঘিরে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, ঠিক সেই সময়েই তাঁরই গাড়িচালক আবার পুলিশের কাছে উল্টো দাবি করেছেন। বিশালের পারিবারিক ওই গাড়িচালকের দাবি, নাবালক পুত্রকে পোর্শে চালাতে অনুমতি দিয়েছিলেন তার বাবাই। এমনকি বিশাল তাঁকে বলেছিলেন, ‘ওকে চালাতে দাও’। কিছুটা চাপে পড়েই কিশোরকে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি গাড়িচালকের। পুলিশের কাছে গাড়িচালক আরও দাবি করেন, প্রথমে তিনি কিশোরকে গাড়ি চালাতে দিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মালিক বিশালই জোরাজুরি করেন পুত্রকে গাড়ি চালাতে দেওয়ার জন্য।
বৃহস্পতিবার বিশালের গাড়িচালক এবং তাঁর পুত্রের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই ঘটনায় কিশোরের ঠাকুরদাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কারণ ঘটনার পর পুত্র বিশালকে গা ঢাকা দিতে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত রবিবার পুণের কল্যাণ নগর এলাকায় দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরের জামিন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। শেষমেশ কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। যে পানশালায় কিশোর মদ্যপান করেছিল, সেই পানশালা দু’টি প্রথমে সিল করা হয়। তার পর ভেঙে দেয় প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy