পুণেতে মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহণ নিগমের বাসে ২৬ বছর বয়সি এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুণের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এ বার মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তাঁর মতে, শুধুমাত্র আইন করে এ সব ঘটনা বন্ধ করা যাবে না। মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনগুলি যাতে সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য আইনের পাশাপাশি সমাজের কাঁধেও বড় দায়িত্ব থাকে বলে মনে করছেন চন্দ্রচূড়।
মঙ্গলবার ভোরে পুণের স্বর্গেট বাসস্ট্যান্ডে একটি ফাঁকা বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া পরীক্ষার মুখে পড়েছে পুণে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ১৩টি দল তৈরি করে অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে। অভিযুক্ত ধরা না-পড়ায় মনস্তাত্ত্বিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে পুলিশের অন্দরেও। অভিযুক্তের খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
পুণের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ২০১২ সালে দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, ওই ঘটনার পর থেকে আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনাগুলি আটকানো সম্ভব হয়নি। নারী নির্যাতনের ঘটনা রুখতে সমাজের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি আইনগুলি যাতে সঠিক ভাবে কার্যকর হয়, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। চন্দ্রচূড়ের কথায়, “এ সব ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা এবং পুলিশের একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে।”
আরও পড়ুন:
পুণের ঘটনার পর আরও সতর্ক হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারও। বাসস্ট্যান্ডগুলির কী পরিস্থিতি রয়েছে, পুলিশি নজরদারি কতটা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর বাসস্ট্যান্ডে আচমকা পরিদর্শনে যান মন্ত্রী সঞ্জয় শিরসত। কিন্তু সেখানে কোনও পুলিশকর্মীকে দেখতে পাননি মন্ত্রী। বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শনের পরে তিনি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে এটা যেন কোনও গুদাম। পুলিশ বা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমি কোনও পুলিশকর্মীকে দেখতে পেলাম না। অথচ এখানে অন্তত দু’জন পুলিশকর্মীর থাকার কথা।” বাসস্ট্যান্ডের সিসি ক্যামেরাগুলি কতটা সচল রয়েছে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে মন্ত্রীর।