অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলেও এখনই উত্তর-পূর্বে হাল ছাড়ছে না তৃণমূল। সামনে মেঘালয়ে ভোট। সেই ভোটকে মাথায় রেখে ছ’মাস আগে থাকতেই প্রস্তুতি শুরু করল মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার শিলংয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ে তিনি তৃণমূলের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি দলের সদস্য সংগ্রহের অভিযানেরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলও এখন তৃণমূল। তবে এই প্রথম মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে চলেছে তৃণমূল। তার আগে বুধবার শিলংয়ে এসেই অভিষেক বললেন, ‘‘২০২৪ সালে গণতান্ত্রিক সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠতে চলেছে।’’ অর্থাৎ শুধু ২০২৩ সালের মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচন নয়, ২০২৪-এর লোকসভার জন্যও মেঘালয়ে লক্ষ্য স্থির করছে তৃণমূল।
বুধবারই শিলংয়ে তৃণমূলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন অভিষেক। আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার কথা বলে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘আমি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করলাম। সব জায়গায় সব বাড়িতে আমরা যাব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরাতেই হবে।’’ মেঘালয়ে তৃণমূলের সদস্য হওয়ার জন্য ৯৬৮৭৭৯৬৮৭৭ নম্বরে মিস্ড কল দেওয়ার কথাও বলেন অভিষেক।
তবে এর পাশাপাশি মেঘালয়ের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘এখানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বন্যাদুর্গতদের পাশে না থেকে দিল্লিতে ডিনার পার্টিতে যোগ দেন।’’ এমনকি, সাংমা মিথ্যা কথা বলে সরকারে এসেছেন বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক।
সম্প্রতি ত্রিপুরায় ভোটে কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি তাঁর দল। এর পরও মেঘালয়ে তিনি কী আশা করছেন? প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিষেককে। জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে যে কোনও রাজ্যে লড়ার অধিকার রয়েছে তৃণমূলের। মেঘালয়ে বাংলার শাসক দল রাজনৈতিক লড়াইয়ে দাঁড়ালেও তারা যে বহিরাগত দল হিসাবে আসবে না, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। শিলংয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, মেঘালয়ের ভোটে যদি তৃণমূল জেতেও তবু মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানকার আদি বাসিন্দারাই ক্ষমতায় থাকবেন। কারণ মুুকুল সাংমা-সহ বিধায়কেরা এখানকারই স্থানীয় বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy