Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Haryana Assembly Election 2024

‘বিজেপিকে হারানোই একমাত্র উদ্দেশ্য’, হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে আপকে সমঝোতার বার্তা রাহুলের

হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে রাহুলের সমঝোতার বার্তাকে স্বাগত জানিয়ে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদেরও প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো।’’

(বাঁ দিকে)  রাহুল গান্ধী  এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২
Share: Save:

লোকসভার মতোই বিধানসভা ভোটেও হরিয়ানার আসন সমঝোতা করতে পারে ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সোমবার দলের জাতীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে সরাসরি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ইতিবাচক বার্তা এসেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের তরফে।

এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে রাহুল সরাসরি কংগ্রেস নেতাদের কাছে জানতে চান, ভোট ভাগাভাগি এড়াতে ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা সম্ভব কি না। সে সময় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা জানান, আপ যত আসন চাইছে তা দিতে গেলে কংগ্রেসের ক্ষতি হবে। কিন্তু তার পর রাহুল সরাসরি জানান, এ ক্ষেত্রে একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বিজেপিকে হারানো। মঙ্গলবার এআইসিসির নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের বৈঠকেও তিনি পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেন।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে। অন্য দিকে, রাহুলের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদেরও প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা সন্দীপ পাঠক এবং সুশীল গুপ্ত আমাদের দলের নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।’’ প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত কেজরীওয়াল বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আপ ১৫-২০টি চেয়েছে। হুডার তা নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আপকে পাঁচ-ছ’টি আসন ছেড়ে সমঝোতা হতে পারে।

এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় সমঝোতা করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। সে রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে একটি কেজরীকে ছেড়ে ন’টিতে লড়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। তার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছেন ‘হাত’ প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটি গিয়েছে ‘পদ্মে’র ঝুলিতে। ২০১৯ সালে ১০টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। যদিও গত জুলাই মাসে এআইসিসির মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বিধানসভা ভোটে আপের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা খারিজ করেছিলেন। কেজরীর দলের তরফেও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ‘একলা চলো’ বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

আপের সঙ্গে সমঝোতায় ভাল ফল করেও কেন ফের একলা লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন জয়রাম? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের মতোই হরিয়ানায় কংগ্রেস-আপ সমীকরণও আদতে ‘ব্যস্তানুপাতিক’। অর্থাৎ, আপের বাড়বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের ক্ষতিবৃদ্ধি হলে। আবার একই রকম ভাবে কংগ্রেসের উন্নতি হবে আপের অবনতিতে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি আঁচ করে আপাতত বিজেপিকে ঠেকাতে দু’পক্ষ সমঝোতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ৫ অক্টোবর এক দফাতেই হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। গণনা ৮ অক্টোবর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE