দীপাবলির পরের দিন, সোমবারই দিল্লিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল দূষণের মাত্রা। মঙ্গলবারও রাজধানীর বাতাসের গুণমান হল ‘ভয়ঙ্কর’। আরকে পুরমে বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) ছিল মঙ্গলবার সকালে ৪১৭, আইটিওতে ছিল ৪১৭, জনকপুরীতে একিউআই ৪২৮, পঞ্জাবি বাগে ৪১০। পরিবেশবিদদের মতে, দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর কারণেই বেড়েছে দূষণ। এই নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে ছাড়েনি দিল্লির শাসকদল আপ এবং বিরোধী বিজেপি। আপের অভিযোগ, বিজেপিই বাজি পোড়ানোর জন্য প্ররোচনা দিয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, আপ পঞ্জাবে ফসল পোড়ানোর বদলে দীপাবলি আর হিন্দুদের দায়ী করছে।
এক দিকে দূষণ যেমন বাড়ছে, তেমন তাপমাত্রা কমছে। সোমবার ছিল এই মরসুমে দিল্লির শীতলতম রাত। রাতের তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে রাতের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
আরও পড়ুন:
দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রায় জানিয়েছেন, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার একিউআই বৃদ্ধি পেয়েছে। একিউআইয়ের মাত্রা ৪৫০-এর বেশি হলে কৃত্রিম বৃষ্টি, জোড়-বিজোর নীতি চালু করার কথা ভাবা হবে। আর এই দূষণ বৃদ্ধির জন্য তিনি বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্জাবের থেকে উত্তরপ্রদেশে অনেক বেশি ফসল পোড়ানো হয়েছে। কিন্তু বিজেপি নিজের দোষ আড়াল করছে। গেরুয়া দলই বাজি পোড়ানোয় প্ররোচনা দিয়েছে। তিনটি রাজ্যের পুলিশ বিজেপির অধীনে, যারা ব্যর্থ হয়েছে।’’
বিজেপি এই অভিযোগ মানেনি। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আপ পঞ্জাবে ফসল পোড়ানো নিয়ে চুপ। অথচ হিন্দুদের এবং দীপাবলির মতো উৎসবকে কাঠগড়ায় তুলছে আর কেন্দ্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশকে দোষ দিচ্ছে।”