শ্রদ্ধা-হত্যাকাণ্ডে এক তরুণী মনোবিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। —ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করার পর এক মনোবিদের সঙ্গে ডেটিং করেছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এমনকি, প্রেমিকার দেহাংশ ফ্রিজে থাকাকালীন ওই তরুণী মনোবিদকে নিজের ভাড়াটে ফ্ল্যাটেও নিয়ে যান। শনিবার এমনই দাবি করলেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘বাম্বল’ নামে যে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে বছর দুয়েক আগে আলাপ হয়েছিল খুনে অভিযুক্ত আফতাবের, তাদের চিঠি লিখে যোগাযোগ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ১৮ মে প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুনের পর ওই অ্যাপের মাধ্যমে একাধিক তরুণীর সঙ্গে ডেটিং করেছিলেন আফতাব। তাঁদের মধ্যে যে তরুণীকে ফ্ল্যাটে এনেছিলেন, তিনি পেশায় মনোবিদ। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে ওই তরুণী মনোবিদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও ওই তরুণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা।
শুক্রবার দিল্লির রোহিণী এলাকায় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এ আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এফএসএল-এর এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পলিগ্রাফ টেস্টের ৩টি সেশনে রাখা হয়েছিল আফতাবকে। এর পর তাঁর নার্কো-অ্যানালিসিস টেস্টও করানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের রেকর্ডিং আমরা খতিয়ে দেখব। এর পর সেই অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ওই রিপোর্টে আমাদের বিশেষজ্ঞরা সন্তুষ্ট না হলে আবার আফতাবকে ডাকা হতে পারে। আফতাবকে জেল হেফাজতে পাঠানো হলেও তাঁর নার্কো-অ্যানালিসিস করা হবে কি না, তা নিয়ে ওই রিপোর্টের ফলাফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
সংবাদমাধ্যমের কাছে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কোন অস্ত্রে শ্রদ্ধাকে খুনে করেছেন বা খুনের আগে এবং পরের ঘটনাক্রম নিয়ে পলিগ্রাফ টেস্টে আফতাবকে প্রশ্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া, শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল বা কী কারণে তাঁকে খুন করেছেন, খুনের পর কোথায় তাঁর দেহাংশ ফেলে এসেছেন তিনি, টেস্টের সময় তা-ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। আফতাবের জবাবে অসঙ্গতি পাওয়া যায় কি না, তা আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে জানতে পারবেন তদন্তকারীরা। সোমবার দিল্লির অম্বেডকর হাসপাতালে আফতাবের নার্কো টেস্ট করানো হতে পারে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy