Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছররা তুলতে ওয়ানিই ভরসা

সব চেয়ে বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে শ্রীনগরের আনচার এলাকায়। কিন্তু হাসপাতালে পুলিশের কড়া নজরদারি। একটু সেরে উঠলেই তারা হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করছে ছররা বেঁধা তরুণদের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১০
Share: Save:

সঙ্গের ব্যাগে সন্না, ব্লেড, বহুল পরিচিত একটি প্রতিষেধক তরলের শিশি আর তুলোর বান্ডিল। তাই নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সরফরাজ আহমেদ ওয়ানি। ডাক্তার নন, তরুণ ওয়ানি বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। ডাক পেলেই ছুটে যান শরীর থেকে ছররা তুলতে। বলেন, ‘‘ছররা বিঁধলে অনেকটা পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। কারণ বন্দুক থেকে বেরোনোর সময়ে সেগুলো থাকে গনগনে গরম। গায়ে লাগলে এক রকম। সমস্যা হয় চোখে বিঁধে গেলে। অন্ধও হয়ে যান মানুষ।’’

সব চেয়ে বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে শ্রীনগরের আনচার এলাকায়। কিন্তু হাসপাতালে পুলিশের কড়া নজরদারি। একটু সেরে উঠলেই তারা হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করছে ছররা বেঁধা তরুণদের। তাই ঘরেই চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁদের। ভরসা ওয়ানি। তিনি বলছেন, ‘‘পুরো কাজটি করতে হয় অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া। ছররা বেঁধার যন্ত্রণা আমিও অনুভব করি।’’ এক এক জনের শরীরে অন্তত ৩০টি করে ছররা বেঁধে। তুলতে লাগে ঘণ্টা তিনেক। তাঁর আক্ষেপ, কুলগাম, পুলওয়ামা, শোপিয়ান বা অনন্তনাগে রোজ ছররার শিকার হচ্ছেন অজস্র তরুণ। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসায় যেতে পারছেন না তিনি। হতাশ গলায় বলেন, ‘‘গ্রেফতার হতে পারি যে কোনও দিনই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Student Injury Pellet Gun
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy