শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি। তার পরই ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে তাঁর উপর হামলা। প্রথমে ঘরের দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়ে, পরে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে! ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার বাসিন্দা সবিতা শিঙ্গারে। মাস ছয় আগে তাঁর পুত্র আকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতীক্ষা নামে এক যুবতীর। কর্মসূত্রে আকাশকে প্রায়ই রাতে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। জালনার প্রিয়দর্শনী কলোনির এক ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সবিতা এবং প্রতীক্ষা। প্রায়ই দু’জনের মধ্যে নানা কারণে অশান্তি হত। মঙ্গলবার রাতে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চলাকালীনই প্রতীক্ষা চড়াও হন সবিতার উপর। তাঁর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন। শুরু হয় রক্তপাত। তখনই অভিযুক্ত রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি এনে শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ।
রাগের মাথায় খুন করলেও পরে ভয় দেখা দেয় প্রতীক্ষার মনে। কী ভাবে দেহ লোপাট করবেন, সেই চিন্তা শুরু হয়। ঠিক করেন, দেহ বস্তায় ভরে অন্য কোথাও ফেলে আসবেন। কিন্তু বস্তাবন্দি করার পর দেহ খুব ভারী হয়ে যায়। ওই বস্তা একার পক্ষে বাইরে ফেলা সম্ভব ছিল না প্রতীক্ষার। তখন অন্য কিছু না ভেবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন:
বুধবার সকালে ওই ঘরের মধ্যে সবিতার দেহ বস্তাবন্দি হিসাবে দেখতে পান বাড়িওয়ালা। তখনই তড়িঘড়ি তিনি পুলিশে খবর দেন। তদন্তে নেমে প্রতীক্ষাকেই সন্দেহ করে পুলিশ। তার পরই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত তাঁর বাপের বাড়ি পরভণী চলে গিয়েছেন। সেখানেই গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। খবর পাওয়ার পরই ওই এলাকা থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।