৩০০ জনের বেশি বর-কনে। এক ছাদের নীচেই সকলের বিয়ের আসর বসেছিল। ধুমধাম করে গণবিবাহ চলছিল। আচমকাই এক দল লোক এসে আসরে ব্যাঘাত ঘটান। দাবি, ওই আসরে থাকা এক মহিলা ‘ধোঁকা’ দিয়ে বিয়ে করছেন। শুধুমাত্র সরকারি সুবিধা পেতেই মহিলার এই পরিকল্পনা!
রবিবার উত্তরপ্রদেশের হাসানপুরের এক কলেজে সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠান। ৩০০ জন বর-কনে, সঙ্গে তাঁদের পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল গমগম করছিল। হঠাৎই সেই আসরে উপস্থিত হন আমন্ত্রিত নন এমন কয়েক জন লোক। নাটকীয় ভাবে ওই আসরে থাকা এক কনে, আসমার বিয়ে বন্ধ করে দেন তাঁরা। বাকিদের কৌতূহল জাগে। কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা? জানা যায়, আসমা বিবাহিত। তার পরও নিজেকে কুমারী দাবি করে বিয়ে করছেন। যাঁরা তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন, তাঁরা ছিলেন আসমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন!
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়া সত্ত্বেও কেন দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চাইছিলেন আসমা? জানা যায়, বছর তিন আগে নূর মহম্মদ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। নানা কারণে প্রায়ই ঝগড়া হত নূর এবং আসমার। মাস ছয় আগে বিরোধের জেরে শ্বশুরবাড়ি ছে়ড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন আসমা। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ মামলাও চলছিল তাঁদের।
বাপের বাড়িতে থাকাকালীনই আসমা জানতে পারেন, সরকার একটি গণবিবাহের আয়োজন করছে। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গণবিবাহ প্রকল্পের অধীনে কনেকে ৩৫ হাজার টাকা করে দেন। পাশাপাশি নবদম্পতিকে বিনামূল্যে নানা ধরনের উপহারও দেওয়া হয়। সেই কথা শোনা মাত্রই আসমা ঠিক করেন, নিজের কাকার ছেলে জাবের আহমেদকে বিয়ে করবেন।
আরও পড়ুন:
আসমা এবং জাবের চেয়েছিলেন বিয়ের পর প্রাপ্ত টাকা এবং উপহার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন। শুধু তা-ই নয়, আসমা ঠিক করেন সরকারি টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনবেন। বাড়িতে প্রয়োজন ছিল তাঁদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। গণবিবাহের আসরে পৌঁছে যান আসমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম বিয়ে লুকিয়ে আবার বিয়ে করার চেষ্টা করার অভিযোগে আসমা এবং তাঁর কাকার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।