সেই ভেড়ার সঙ্গে পালক রাজু সিংহ। ছবি: সমাজমাধ্যম
তার ভেড়াজন্ম কিছুটা অভিনব। তারানগর নামে রাজস্থানের ছোট্ট একটা শহর, চুরু জেলার মধ্যে পড়ে। জায়গাটা থর মরুভূমির বালুচরের কাছে। সেখানে বাড়ির ভিতরে বসে বেদানা খেতে খেতে কিছু একটা হয়তো বোঝে সে। কিন্তু তা নিয়ে ভাবিত কি-না, দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই।
বয়স এক বছরের অল্প কিছু বেশি। সেই ভেড়ার জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে এক পায়ে খাড়া একাধিক ক্রেতা। কিন্তু রাজু সিংহ বিক্রি করবেন না। গত বছর ইদের সময় ৭০ লক্ষ টাকা দাম উঠেছিল। এ বার আরও বাড়লেও রাজু টলেননি। নধর ভেড়াটির বিনিময়ে কোনও মূল্যই তাঁর কাছে ধর্তব্য নয়।
এতটা কদরের কারণ একটি লক্ষণ। ভেড়াটির পেটের কাছে গাত্রবর্ণে যেন ফুটে উঠেছে উর্দুতে ‘৭৮৬’ সংখ্যাটির আদল। যে সংখ্যা উপমহাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। জন্ম থেকেই পালিত মেষের গায়ে ওই লক্ষণ থাকলেও রাজুর সেই ব্যাপারে কোনও ধারণা ছিল না। সেটা হয়েছে গত বছর ইদের আগে। আর তার পর থেকেই এক প্রকার স্নেহের উন্মেষ হয়েছে রাজুর মধ্যে।
পেশায় মেষপালক রাজু। শুমারি অনুযায়ী, রাজস্থানে ভেড়া রয়েছে এক কোটির বেশি। উল আর মাংসের জন্য মূলত দরিদ্র ও নিম্নবর্গের মানুষের মধ্যে ভেড়াপালন জনপ্রিয়। তবে রাশি রাশি ভেড়ার মধ্যে এই একটি বিশেষ করে প্রিয় হয়ে উঠেছে রাজুর। শুধু পালন নয়, লালনও করছেন তাকে। অন্য ভেড়াদের সঙ্গে নয়, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে থাকে সেটি। খায় টাটকা আনাজ, পাকা পেঁপে, বেদানা, জোয়ার-বাজরা। তবে চরাতে নিয়ে যেতে পারেন না, ভয়ে। খাঁচার পাখির মতো ঘরেই থাকে ভেড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy