বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগে যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কেরলের এক আদালত। পতঞ্জলির অধীনস্থ দিব্য ফার্মাসির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলছে পালাক্কড়ের জুডিশিয়াল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা হাজিরা দেননি। এর পরেই উভয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নেন বিচারক।
দিব্য ফার্মেসির কিছু বিজ্ঞাপন ঘিরে কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি-সহ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করা এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অপ্রমাণিত কিছু দাবি করার অভিযোগ রয়েছে সংস্থার বিরুদ্ধে। কেরলের কোড়িকোড়ের আদালতেও এ সংক্রান্ত একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
পালাক্কড়ের আদালতে গত ১৬ জানুয়ারি সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রামদেব এবং বালকৃষ্ণের। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় প্রথমে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এ বার নতুন করে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়। গত দু’বছর ধরেই এই সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠাতাদের ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অভিযোগে। চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এই সংস্থার বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানায়। বিজ্ঞাপন-বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও।
সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সেই মামলায় রামদেবকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল। সেই হলফনামায় যোগগুরু বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি আদালতের কাছে। এই ত্রুটির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আদালতকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, একই ভুলের পুনারাবৃত্তি হবে না। আরও অঙ্গীকার করছি, বিবৃতিতে উল্লিখিত সব কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। অনুরূপ কোনও বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হবে না।’’