‘চ্যাটজিপিটি’, ‘ডিপসিক’-এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে অফিসের কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রাদিতে ব্যবহার করা যাবে না! সম্প্রতি এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। এই অ্যাপগুলি থেকে সরকারি নথি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সব অফিসের কর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, বুধবারই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেছেন ‘চ্যাটজিপিটি’ কর্তা স্যাম অল্টম্যান।
অর্থ মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ ওই নির্দেশিকায় সই রয়েছে যুগ্মসচিব প্রদীপকুমার সিংহের। নির্দেশিকায় তিনি জানিয়েছেন, অর্থসচিবের অনুমতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ কোনও অ্যাপ অফিসের যন্ত্রে ব্যবহার হলে সরকারি গোপন নথি এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই অ্যাপগুলি গোপনীয় তথ্য এবং নথির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গত ২৯ জানুয়ারি জারি করা নির্দেশিকাটি বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে। সরকারি দফতরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে এই সাবধানতা ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলিতেও দেখা গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইটালিতেও সম্প্রতি সরকারি যন্ত্রাদিতে ‘ডিপসিক’ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, বুধবারই ‘চ্যাটজিপিটি’-র নির্মাতা সংস্থা ‘ওপেন এআই’ কর্তা স্যাম অল্টম্যানের ভারতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ভারতের আগামীর রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের। বৈঠকের পরে অশ্বিনী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন ‘সুপার কুল’ আলোচনা হয়েছে তাঁদের। ঠিক এই সময়েই প্রকাশ্যে এসেছে অর্থ মন্ত্রকের কর্মীদের জন্য এই নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন:
কেবল অর্থ, না অন্য মন্ত্রকগুলিতেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। নির্দেশিকার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রকের তিন জন আধিকারিক এই অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। ‘ওপেন এআই’ এবং ‘ডিপসিক’-এর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে রয়টার্স। তাদের তরফেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।